সোনামুখী (বাঁকুড়া), 26 অগস্ট: নদীর জলস্তর বেড়ে কার্যত ভেঙে গিয়েছে সেতু ৷ সেই পরিস্থিতির মধ্য়েও চলছে পারাপার৷ রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এপার থেকে ওপারে চলাচল করছেন বাসিন্দারা ৷
ঘটনাস্থল বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের রামপুর-সতীঘাট এলাকা ৷ সেখানে শালী নদীর উপর একটি সেতু রয়েছে ৷ সেই সেতুর মাঝের অংশ কয়েক সপ্তাহ আগে ভেঙে গিয়েছে । শালী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি কারণেই ওই অংশটি ভেঙে যায় । প্রশাসনের তরফে সেখান দিয়ে যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ অভিযোগ, তার পরও চলছে পারাপার ৷
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, সেতু ভাঙার পর বেশ কয়েকদিন ওই ব্রিজ উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ ছিল । সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে পারাপার না করতে না পারে, সেই কারণে মোতায়ন করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ার ৷ কিন্তু তাঁদের বারণ উড়িয়েই সেতু দিয়ে সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ব্রিজ পারাপার করছে । ফলে যেকোনও মুহূর্তেই প্রাণহানির মতো মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
স্থানীয়দের দাবি, সেতু ভেঙে যাওয়ায় হামিরহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত, পিয়ারবেড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ধুলাই গ্রাম পঞ্চায়েতের 40 থেকে 45টি গ্রামের সাধারণ মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে । সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের । নদী পারাপারের জন্য বিকল্প হিসেবে প্রশাসনের তরফে নৌকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ৷ তবে সেই নৌকা এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে । তাই ঝুঁকি নিয়েই পারাপার করা হচ্ছে বলে জানালেন এলাকার বাসিন্দা সঙ্গীতা ঘোষ, মন্টু ঘোষ ও শম্পা ঘোষ ৷
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে দুর্ঘটনা হলে, তার দায় কে নেবে ? সেই প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং সোনামুখী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুশল বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তবে দ্রুত অস্থায়ী সেতু তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি ৷