ETV Bharat / state

পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জলছাপে ধর্মীয় বার্তা ! কোচবিহারের স্কুলে বিতর্ক - Religious Message in Exam Papers - RELIGIOUS MESSAGE IN EXAM PAPERS

Religious Message in Exam Papers in Cooch Behar School: স্কুলের পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ধর্মীয় বাণী ছাপানোর অভিযোগ ৷ আর সেই বাণী ছাপানো হয়েছে জলছাপে ৷ যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের কালপানি রাজামোহন হাইস্কুলে ৷ ঘটনায় গাফিলতির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক ৷

Religious Message in School Exam Papers
পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে জলছাপে ধর্মীয় বাণী ছাপানোর অভিযোগ ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 25, 2024, 1:30 PM IST

কোচবিহার, 25 অগস্ট: স্কুলের প্রশ্নপত্রে জলছাপ বা ওয়াটার মার্কে ধর্মীয় বাণী লেখার অভিযোগ ৷ কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের কালপানি রাজমোহন হাইস্কুলের ঘটনায় স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক ৷

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে ওই স্কুলে ৷ সেই প্রশ্নপত্রে জলছাপ দিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বাণী লেখা ছিল বলে অভিযোগ ৷ যদিও, তা সকলের নজর এড়িয়ে যায় ৷ কিন্তু, শুক্রবার অংক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ৷ আর তারপরেই হইচই পড়ে যায় ৷ অভিভাবকদের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে, স্থানীয়রা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত বড় ভুল হতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষের ?

জানা গিয়েছে, কোচবিহার কালপানি রাজমোহন হাইস্কুলে দু’জন প্যারাটিচার-সহ 9 জন শিক্ষক রয়েছেন ৷ ছাত্রছাত্রী সংখ্যা 600 ৷ তবে, স্কুলে দীর্ঘদিন বিজ্ঞান, বাংলা ও ইতিহাসের কোনও শিক্ষক নেই ৷ একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াচ্ছেন ৷ স্কুলে বর্তমানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা চলছে ৷ অভিযোগ, নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের তিনটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রেই জলছাপ দিয়ে ওই ধর্মীয় বাণী লেখা ছিল ৷ পাশাপাশি প্রশ্নেপত্রে ওই শিক্ষকের নাম ছাপা ছিল ৷

পুরো ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক বলেন, "আমাদের বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষক নেই ৷ ফলে অন্য একজন শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করে সেটি পেনড্রাইভে রেখেছিলেন ৷ প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর যে শিক্ষক তা পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর নজরে বিষয়টি এড়িয়ে যায় ৷ কেন ওই শিক্ষক এমনটা করলেন, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে ৷"

কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "কেন এমনটা হল, তা ওই স্কুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ৷" যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আর দেখা যায়নি ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷

কোচবিহার, 25 অগস্ট: স্কুলের প্রশ্নপত্রে জলছাপ বা ওয়াটার মার্কে ধর্মীয় বাণী লেখার অভিযোগ ৷ কোচবিহার 2 নম্বর ব্লকের কালপানি রাজমোহন হাইস্কুলের ঘটনায় স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ সম্প্রতি বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্থানীয়রা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান ৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক ৷

গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার জীবন বিজ্ঞান ও ভৌত বিজ্ঞান পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে ওই স্কুলে ৷ সেই প্রশ্নপত্রে জলছাপ দিয়ে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বাণী লেখা ছিল বলে অভিযোগ ৷ যদিও, তা সকলের নজর এড়িয়ে যায় ৷ কিন্তু, শুক্রবার অংক পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিষয়টি প্রথম নজরে আসে ৷ আর তারপরেই হইচই পড়ে যায় ৷ অভিভাবকদের থেকে বিষয়টি জানতে পেরে, স্থানীয়রা স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷ কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে কীভাবে এত বড় ভুল হতে পারে স্কুল কর্তৃপক্ষের ?

জানা গিয়েছে, কোচবিহার কালপানি রাজমোহন হাইস্কুলে দু’জন প্যারাটিচার-সহ 9 জন শিক্ষক রয়েছেন ৷ ছাত্রছাত্রী সংখ্যা 600 ৷ তবে, স্কুলে দীর্ঘদিন বিজ্ঞান, বাংলা ও ইতিহাসের কোনও শিক্ষক নেই ৷ একজন শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াচ্ছেন ৷ স্কুলে বর্তমানে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির দ্বিতীয় সামেটিভ পরীক্ষা চলছে ৷ অভিযোগ, নবম ও দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের তিনটি বিষয়ের প্রশ্নপত্রেই জলছাপ দিয়ে ওই ধর্মীয় বাণী লেখা ছিল ৷ পাশাপাশি প্রশ্নেপত্রে ওই শিক্ষকের নাম ছাপা ছিল ৷

পুরো ঘটনায় প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিক বলেন, "আমাদের বিজ্ঞান বিভাগের কোনও শিক্ষক নেই ৷ ফলে অন্য একজন শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করে সেটি পেনড্রাইভে রেখেছিলেন ৷ প্রশ্নপত্র ছাপানোর পর যে শিক্ষক তা পরীক্ষা করেছিলেন, তাঁর নজরে বিষয়টি এড়িয়ে যায় ৷ কেন ওই শিক্ষক এমনটা করলেন, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে ৷"

কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, "কেন এমনটা হল, তা ওই স্কুলের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে ৷" যদিও ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষককে আর দেখা যায়নি ৷ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.