আলিপুরদুয়ার, 28 সেপ্টেম্বর: দুর্গাপুজোর আগে যেকোনও দিন গণ্ডার হত্যা করার জন্য জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে হামলা চালাতে পারে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চোরাশিকারিরা, গোপন সূত্রে এমনটাই খবর পায় জলদাপাড়া বনবিভাগ ৷ চোরাশিকারিদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে তাই গোটা জঙ্গল জুড়ে জারি করা হল লাল সতর্কতা বা রেড অ্যালার্ট । এই লাল সতর্কতা প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত একমাত্র বৈধ পর্যটকরা জঙ্গলে আসতে পারবেন ৷ বাকিদের জঙ্গল ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ।
পাশাপাশি চোরাশিকারিদের এবারের ছক যাতে কোনও ভাবেই সফল না হয়, তার জন্য জঙ্গলজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য 24×7 চিরুনি তল্লাশি শুরু করা হয়েছে । তল্লাশির জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে কুনকি হাতি ও গাড়ি । সঙ্গে পায়ে হেঁটেও নজরদারি চালাচ্ছেন বনবিভাগের কর্মীরা । জঙ্গল স্ক্যানিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে বনদফতরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তিনটি স্নিফার ডগকে । কড়া নজর রাখা হচ্ছে জলদাপাড়া সংলগ্ন বনবস্তিগুলির উপর । এমনকী জঙ্গলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নথিপত্রও খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে ।
216.51 বর্গকিলোমিটারের জলদাপাড়ার জঙ্গলে 2022 সালে শেষ সুমারি হয়েছিল ৷ তাতে 292টি গণ্ডারের অস্তিত্ব মিলেছিল, যা বর্তমানে তিনশোর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে বনদফতর সূত্রে খবর । প্রতিবেশী রাজ্য অসমে চোরাশিকারিদের দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশ জারি হয়েছে ৷ এরপরেই সারা উত্তর-পূর্বাঞ্চলের চোরাশিকারিরা এখন জলদাপাড়াকে পাখির চোখ করেছে বলে আশঙ্কা বনকর্তাদের ।
জলদাপাড়া বন্যপ্রাণ বিভাগের ডিএফও পারভিন কাশওয়ান বলেন, "আমরা সব সময় সতর্ক থাকি । আমাদের ইনফর্মার নেটওয়ার্ক থেকে যখনই কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আসে, তখন আমরা বেশি করে এলার্ট হয়ে যাই । ওটা নিয়ে আজকে আমাদের একটা স্পেশাল স্ক্যানিং । আমাদের যত রেঞ্জ, বিট এবং ফিল্ড স্টাফ আছে একটা কো-অর্ডিনেটেড এফোর্টে ডগ স্কোয়ার্ড নিয়ে গাড়ি চেক করা হয়েছে । আমাদের যত টিকিট কাউন্টার এবং যত গেট আছে ভালো করে সব চেক করা হয়েছে । জঙ্গলের কাছে যা যা স্ট্যাটেজিক লোকেশন থাকে, সেখানে আমরা গিয়ে ভিজিট করেছি । আমরা এটাই বলতে চাই যে, উই আর হাইলি এলার্ট । আমাদের টিম খুব অ্যাক্টিভলি এখন সব জায়গায় স্ক্যানিং করছে ।"