বারাসত, 1 জুন: 'আগে শাপলা ফুটুক। তারপর পদ্মফুল ফোটানোর কথা ভাববেন। স্বপন মজুমদার আশা করতেই পারেন। সেই আশা এবারও বৃথা যাবে পদ্ম শিবিরের।' ভোট পরিচালনার তদারকির মাঝেই বারাসতের বিজেপি প্রার্থীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ।
তিনি বলেন, "এখনও বাংলায় ঠিকভাবে শাপলা ফুল ফোটেনি, পদ্ম ফোটানোর কথা ভাবছেন। আসলে উনি বিভিন্ন জায়গায় বুঝতে পেরেছেন কিছু হবে না। তাই, রিল্যাক্স মুডে আছেন।" ইটিভি ভারতের মুখোমুখি হয়ে রথীন বলেন, "সকালের দিকে কিছু জায়গায় ইভিএম নিয়ে সমস্যা দেখা দিলেও পরে সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে। এটুকু বলতে পারি মানুষ উৎসাহের সঙ্গে এদিন ভোট দিয়েছেন। ভোট শতাংশ দেখে আমাদের মনে হয়েছে মানুষ এবারও কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে ভোট দিয়ে জেতাবেন। তাঁর জয় অবধারিত।"
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বুথ জ্যামের যে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী তুলছেন, তা সঠিক নয় বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলের ভোট ম্যানেজার হিসেবে পরিচিত, রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে যে সমস্ত বিরোধী প্রার্থীরা লড়ছেন তাঁরা 'টেস্টেড' নয় বলেও এদিন মন্তব্য করেন রথীন ঘোষ ৷
প্রসঙ্গত, মধ্যমগ্রাম মাইকেল নগরে শিশু নিকেতনে নিজের ভোট দেওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ এদিন ঘাঁটি গাড়েন বারাসতের কেএনসি রোড সংলগ্ন তৃণমূলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বারাসত পৌরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন পৌরপারিষদ। সেখান থেকেই দলীয় প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের হয়ে ভোট পরিচালনা করেন রথীন ঘোষ। কোথাও কোনও সমস্যা হলেই সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন খাদ্যমন্ত্রী। সবমিলিয়ে, দলের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ভোটের শেষ দিনে খোশমেজাজেই ছিলেন মধ্যমগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক ও মন্ত্রী রথীন ঘোষ।