কলকাতা, 11 মার্চ: হুগলিতে তৃণমূলের রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপক্ষে বিজেপির প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷ সিনেমার পর্দায় একসঙ্গে দেখা গেলেও রাজনীতির ময়দানে তাঁরা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী ৷ রচনার নাম ঘোষণার পর লকেট বলেছিলেন, "ভোট হচ্ছে মোদির নামে। সেখানে রচনা কোনও ফ্যাক্টর নন ।" এর জবাবে রচনা সোমবার বললেন, "উনি ওঁর কথা বলেছেন । লকেট চট্টোপাধ্যায়ের মাথার উপরে নরেন্দ্র মোদি আছেন। আমার মাথার উপরে আছেন দিদি । দিনের শেষে মানুষ প্রার্থীকে দেখেই ভোট দেয় । লড়াইটা কিন্তু লকেট আর রচনার মধ্যেই হবে ।"
মুখ্যমন্ত্রী রবিবারই ব্রিগেড থেকে লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছেন । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো তাঁর নামের সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে দিদি শব্দটি। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে হুগলির এই প্রার্থী সিনেমার পাশাপাশি টেলিভিশনেরও জনপ্রিয় মুখ । আর তাঁর নাম ঘোষণার পর গড় গোছাতে নেমে পড়লেন অভিনেত্রী।
এদিন সরাসরি তিনি বিধানসভায় পৌঁছে যান। সেখানেই ছিলেন ধনেখালির বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অসীমা পাত্র। ছিলেন চাঁপদানীর বিধায়ক তথা সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইনও ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে তাঁর নির্বাচনী ক্ষেত্র সম্পর্কে খোঁজ খবর নিলেন 'দিদি নাম্বার ওয়ান'। প্রার্থী হিসেবে রাজনীতির ময়দানে নামার আগে প্রয়োজনীয় হোম ওয়ার্ক করতেই মূলত এ দিনের তাঁর এই বৈঠক বলে তিনি জানান ।
এ দিন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় বলেন, "কাজ তো করতে হবে। তাই সময় নষ্ট করে লাভ কী! অসীমাদি গোটা এলাকাটা হাতের তালুর মতো চেনেন। তাই তাঁর কাছ থেকে বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি ।" তিনি প্রার্থী হওয়ার পর প্রায় 24 ঘণ্টা অতিবাহিত হয়েছে ৷ এই 24 ঘণ্টায় তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে মানুষের প্রতিক্রিয়া কী ? রচনার কথায়, " প্রতিক্রিয়া দারুণ । আমি ভাবতেও পারিনি মানুষের এত ভালোবাসা পাব । ভেবেছিলাম অনেকেই জানতে চাইব কেন রাজনীতিতে এলাম? কিন্তু এখন দেখছি মানুষ খুব খুশি । তাঁরা দুহাত তুলে আমাকে আশীর্বাদ করছেন ।
হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিন্দম গুঁইনের কথায়, "এলাকার মানুষ প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে খুবই খুশি । রচনাকে শুধু হুগলি নয়, বাংলার প্রতিটি ঘরের মানুষ চেনেন । এটা আমাদের বাড়তি পাওনা ।" অন্যদিকে, অসীমা পাত্র জানিয়েছেন, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী হওয়ায় সুবিধাই হবে । মাস্টার্স স্ট্রোক দিয়েছেন দলনেত্রী । বাংলার মানুষ প্রমাণ করে দেবে বিজেপির সঙ্গে তারা নেই ।
আরও পড়ুন: