কলকাতা, 8 অগস্ট: মাত্র 24 বছর বয়সেই যুব ফেডারেশন অর্থাৎ ডিওয়াইএফআই-এর সম্পাদক হন । 27 বছর বয়সে জায়গা পান রাজ্য কমিটিতে । 31 বছর বয়সে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য । এভাবেই ধাপে ধাপে এগিয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কিন্তু, তিনি কখনওই বৈভবপূর্ণ জীবনযাপন করেননি । তবে আকাশ ছোঁয়ার কথা বলতেন । কিন্তু, পা রাখতে বলতেন মাটিতে । ইটিভি ভারতে বুদ্ধদেবের স্মৃতিচারণায় জানালেন সিপিআইএম নেতা রবীন দেব ৷
বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিন বছর বিধানসভার চিফ হুইপ ছিলেন রবীন দেব । বুদ্ধবাবুর নির্দেশেই তাঁকে চিফ হুইপ করা হয়েছিল ৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর স্নেহভাজন ছিলেন রবীন, অনেক পরামর্শও পেয়েছেন । তিনি বলেন, ‘‘75-এ ইমারজেন্সি সময় এক তরুণ তুর্কির আবির্ভাব ঘটে ৷ যার লেখনি-বক্তব্যে কাকা সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাপ ধরা পড়ে ৷ ডিওয়াইএফআইয়ের মুখপত্র ‘যুবশক্তির’ যাত্রা শুরু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতে । সংস্কৃতিমনস্ক বুদ্ধদেব তরুণ প্রজন্মকে বারবার উৎসাহিত করতেন । যে কারণে 34 বছর বাম সরকার থাকাকালীন তিনি যেমন পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন, তেমনি বামেরা গদিচ্যুত হওয়ার পরও দলীয় নেতারা বারবার তাঁর থেকে পরামর্শ নিয়েছেন ।’’
তাঁর কথায়, আজকের রবীন্দ্রসদন কিংবা নন্দনের যে বহর, তা রাজ্যের প্রাক্তন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মস্তিষ্কপ্রসূত ৷ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রস্তাব রেখেছিলেন, তাঁর মরদেহ পিস ওয়ার্ল্ডে না-রেখে রবীন্দ্র সদনে রাখার জন্য ৷ যেখানে গান স্যালুটের ব্যবস্থা করা যেতে পারে ।
যদিও সূত্রের খবর, বুদ্ধবাবুর স্ত্রী মীরা ভট্টাচার্যর সম্মতি না-মেলায় পিস ওয়ার্ল্ডেই রাখা হয়েছে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মরদেহ । গান স্যালুট নিয়েও পার্টির একাংশ আপত্তি তোলেন ৷ তবে, স্পিকারের ফোন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরজি মান্যতা পেয়েছে । ফলে বিধানসভায় নিয়ে আসা হবে তাঁর দেহ । রবীন দেব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দিয়েছেন, তার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই । তিনি ছাড়াও রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী এসেছিলেন ৷’’