ETV Bharat / state

ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে বিহার যোগ, প্রতারকদের গ্যাং তৈরি করেছিলেন ধৃত হাসেম

মালদা থেকে গ্রেফতার সাইবার ক্যাফের মালিককে জেরা করে প্রতারক দলের হদিশ ৷ ধৃত চারজনের মধ্যে একজন স্কুলে অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন ৷

TAB CORRUPTION CASE
ট্যাব দুর্নীতি-কাণ্ডে বিহারের যোগ পেলেন তদন্তকারীরা ৷ (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 13, 2024, 9:11 PM IST

পূর্ব বর্ধমান, 13 নভেম্বর: পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের ট্যাব দুর্নীতির মামলায় এবার ভিনরাজ্যের যোগ পেল পুলিশ ৷ মালদা থেকে গ্রেফতার হওয়া সাইবার ক্যাফের মালিক হাসেম আলিকে জেরা করে এই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে ৷ সেই মতোই মঙ্গলবার মালদা জেলা থেকে 4 জনকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্ততকারীরা ৷

ধৃত হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, 2019 সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর, কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন তিনি ৷ ডিপ্লোমা কোর্স করার সময়ই হাসেম নেট দুনিয়ায় হাত পাকিয়ে ফেলেন ৷ অভিযোগ, প্রযুক্তির ব্যবহারে পারদর্শী হওয়ার পর, হাসেম বিভিন্ন ওয়েব সাইটের অ্যাক্সেস নিতে শুরু করেন ৷ এর জন্য একটি প্রতারণা চক্র তৈরি করেন মালদার বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা হাসেম ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসেমের সঙ্গে 15-20 জনের একটি গ্যাং কাজ করে ৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা ৷ তাঁর এই টিমের সদস্যরা লোকজনের নথি হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করত ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাব-কাণ্ডে হাসেম আলিকে জেরা করে পুলিশের কাছে আরও কিছু তথ্য আসে ৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার ও রকি শেখকে গ্রেফতার করেছিল মঙ্গলবার ৷ তাঁদের সকলের বাড়ি মালদা জেলায় ৷ ধৃতদের মধ্যে রকি শেখ মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগ আছে ৷ যা ট্যাব কেনার সরকারি টাকার তছরূপ করতে সাহায্য করেছে বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে ৷

ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য স্কুলের পোর্টালগুলিতে কীভাবে পড়ুয়াদের তথ্য আপলোড হয়, তার খুঁটিনাটি জেনেছিলেন পিন্টু ৷ তাঁর সঙ্গে শিক্ষা দফতরের লোকজনেরও পরিচয় হয়েছিল, অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাদে ৷ উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের ৷ সেই মতো প্রধান শিক্ষক একজনকে সরকারি পোর্টালে তথ্য আপলোডের দায়িত্ব দেন ৷

ফলে প্রতারকরা বিভিন্ন কায়দায় পোর্টালের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে সফল হয় ৷ পাসওয়ার্ড হাতে চলে গেলে সহজেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিত প্রতারকরা ৷ ফলে শিক্ষা দফতর যখন পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে, সেই টাকা প্রতারকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে ৷

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রে বিহারের কয়েকজন যুবকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ হাসেম ও তাঁর বাকি চার সঙ্গীকে এ নিয়ে আরও জেরা করা হবে। পুলিশের অনুমান, শুধু বিহার নয় ৷ আরও বেশ কিছু রাজ্যে ছড়িয়ে আছে এই প্রতারণা চক্রের জাল ৷

পূর্ব বর্ধমান, 13 নভেম্বর: পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন স্কুলের ট্যাব দুর্নীতির মামলায় এবার ভিনরাজ্যের যোগ পেল পুলিশ ৷ মালদা থেকে গ্রেফতার হওয়া সাইবার ক্যাফের মালিক হাসেম আলিকে জেরা করে এই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে ৷ সেই মতোই মঙ্গলবার মালদা জেলা থেকে 4 জনকে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্ততকারীরা ৷

ধৃত হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, 2019 সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর, কম্পিউটারে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হন তিনি ৷ ডিপ্লোমা কোর্স করার সময়ই হাসেম নেট দুনিয়ায় হাত পাকিয়ে ফেলেন ৷ অভিযোগ, প্রযুক্তির ব্যবহারে পারদর্শী হওয়ার পর, হাসেম বিভিন্ন ওয়েব সাইটের অ্যাক্সেস নিতে শুরু করেন ৷ এর জন্য একটি প্রতারণা চক্র তৈরি করেন মালদার বৈষ্ণবনগরের বাসিন্দা হাসেম ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, হাসেমের সঙ্গে 15-20 জনের একটি গ্যাং কাজ করে ৷ তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিহারের বাসিন্দা ৷ তাঁর এই টিমের সদস্যরা লোকজনের নথি হাতিয়ে নিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার কাজ করত ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাব-কাণ্ডে হাসেম আলিকে জেরা করে পুলিশের কাছে আরও কিছু তথ্য আসে ৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ পিন্টু শেখ, জামাল শেখ, শ্রবণ সরকার ও রকি শেখকে গ্রেফতার করেছিল মঙ্গলবার ৷ তাঁদের সকলের বাড়ি মালদা জেলায় ৷ ধৃতদের মধ্যে রকি শেখ মালদার ভগবানপুর কেবিএস স্কুলে চুক্তিভিত্তিক কম্পিউটার শিক্ষক ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক স্কুলের অ্যাকাউন্টের লগইন ক্রেডেনশিয়াল সরবরাহ করার অভিযোগ আছে ৷ যা ট্যাব কেনার সরকারি টাকার তছরূপ করতে সাহায্য করেছে বলে পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে ৷

ট্যাবের টাকা পাওয়ার জন্য স্কুলের পোর্টালগুলিতে কীভাবে পড়ুয়াদের তথ্য আপলোড হয়, তার খুঁটিনাটি জেনেছিলেন পিন্টু ৷ তাঁর সঙ্গে শিক্ষা দফতরের লোকজনেরও পরিচয় হয়েছিল, অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে কাজ করার সুবাদে ৷ উল্লেখ্য, পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ যাবতীয় তথ্য আপলোড করার দায়িত্ব থাকে স্কুল কর্তৃপক্ষের ৷ সেই মতো প্রধান শিক্ষক একজনকে সরকারি পোর্টালে তথ্য আপলোডের দায়িত্ব দেন ৷

ফলে প্রতারকরা বিভিন্ন কায়দায় পোর্টালের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিতে সফল হয় ৷ পাসওয়ার্ড হাতে চলে গেলে সহজেই পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলে দিত প্রতারকরা ৷ ফলে শিক্ষা দফতর যখন পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছে, সেই টাকা প্রতারকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাচ্ছে ৷

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত হাসেম আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রে বিহারের কয়েকজন যুবকের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে ৷ হাসেম ও তাঁর বাকি চার সঙ্গীকে এ নিয়ে আরও জেরা করা হবে। পুলিশের অনুমান, শুধু বিহার নয় ৷ আরও বেশ কিছু রাজ্যে ছড়িয়ে আছে এই প্রতারণা চক্রের জাল ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.