কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: আলোচনার পথ খোলা রয়েছে। সরকার সদর্থক ভূমিকা নিলে তাঁরা পদক্ষেপ নেবেন। স্বাস্থ্য সচিবের ইমেইল পাওয়ার পর এমনই সিদ্ধান্ত নিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁদের তরফে মঙ্গলবার স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। করুণাময়ী থেকে দুপুর একটা নাগাদ স্বাস্থ্য ভবনের উদ্দেশ্যে তাঁদের মহামিছিল শুরু হয় । তবে স্বাস্থ্যভবন ঢোকার ১০০ মিটার আগেই ব্যারিকেডের সামনে বসে পড়েন তাঁরা । সেখান থেকেই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ চলছে তাঁদের। রাত পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
এই অবস্থান চলাকালীন বিকেলে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম তাঁদেরকে একটি ইমেইল করেন । সেই ইমেইলে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা বলা হয়। জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চান । তাঁরা রাজি থাকলে এদিনই বৈছক হতে পারে।
এই মেইল দেখে আরও ক্ষুব্ধ হয়ে যান চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, পদমর্যাদার দিক থেকে তাঁদের আন্দোলন স্বাস্থ্যসচিবের বিরুদ্ধে। তাই তাঁর কাছ থেকে মেইল আসাটা তাঁদের পক্ষে অসম্মানজনক। এই ইমেইল আসার পরেই তাঁরা একটি জেনারেল বডি মিটিং করেন। সেই মিটিংয়ের পর জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "নবান্ন থেকে মেইল আসেন । আমাদের মেইল করেছেন স্বাস্থ্য সচিব। তবে সেখানে বলা হয়েছে দশজনের প্রতিনিধি দল যেতে পারবে। এই পুরো বিষয়টাই অসন্তোষ ও অপমানের আমাদের জন্য।"
পাশাপাশি তাঁরা আরও জানিয়েছেন,আলোচনার পথ সব সময় খোলা রয়েছে। রাজ্য সরকার কোনও সদর্থক ভূমিকা নিলেই কথা বলা যেতে পারে । এখন তাঁরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেব পরবর্তী পদক্ষেপ কী করবেন । তার আগে পর্যন্ত আমরা অন্য কোনও বৈঠকে সাড়া দেবেন না। যদিও এদিন স্বাস্থ্য ভবনে অনেকটা রাত পর্যন্ত উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সচিব।
অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মঙ্গলবার বিকেল 5টার মধ্যে সকল জুনিয়র চিকিৎসকের কাজে ফিরতে হত। কিন্তু 5 দফা দাবি এখনও মেনে নেয়নি প্রশাসন। তাই কাজে যোগ দিতে পারছেন না জুনিয়র চিকিৎসকরা । পালটা তাঁরা বলেন, "পাঁচ দফা দাবি যতক্ষণ না মেনে নেওয়া হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভ করব ।"