কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: একের পর এক বিতর্ক । ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এবার এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ । বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিভাগের প্রাক্তন প্রধানের বিরুদ্ধে এই গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। অভিযোগ উঠেছে ,পরীক্ষার পরেই তাঁকে তুলে নিয়ে গিয়ে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবার প্রস্তাব দেন অধ্যাপক। ওই অধ্যাপকের এই কাজে সঙ্গী হন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র দুই ছাত্র।
অভিযোগকারী ছাত্রীর দাবি, তাঁকে বলা হয়,"পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেতে হলে স্যরের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া প্রয়োজন।" এরপরই ঘটনায় ভীত হয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে একটি ইমেল পাঠান অভিযোগকারিণী। ভালো ফল নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর বিভাগে ভরতি হয়েছিলেন অভিযোগকারী ছাত্রী । যিনি জেলা থেকে এসেই যাদবপুরে পড়াশোনার করতে আসেন।
ছাত্রীর অভিযোগ, পরীক্ষায় তাঁর ভালো ফল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া সবকিছু নিয়েই হাসি ঠাট্টা করা হত। যেখানে যুক্ত ছিলেন অধ্যাপকও। ঘটনার সূত্রপাত 19 ফেব্রুয়ারি ৷ প্রথম বর্ষের প্রথম পরীক্ষা ছিল ওইদিন। আচমকাই পরীক্ষার হলে ওই অধ্যাপক সবার সামনে তাঁর নাম ধরে ডাকেন। এমনকী তাঁর শারীরিক তল্লাশির প্রয়োজন বলেও জানান তিনি। মেয়েটির অভিযোগ, এর কারণ হিসেবে অধ্যাপক বলেন, "তিনি চিরকুটে পরীক্ষার উত্তর লিখে এনেছেন। যদি তল্লাশি করতে না-দেওয়া হয় তাহলে তাঁর পরীক্ষাও বাতিল করার কথা বলা হয়েছিল।"
পরীক্ষার হলে বহু পুরুষ সহপাঠীরাও ছিলেন। কিন্তু তাঁদের সামনে আর কোনও মহিলা সহপাঠীকে এমন তল্লাশির কথা বলা হয়নি। শুধুমাত্র ওই মেয়েটিকেই শরীরে হাত দিয়ে তল্লাশি করা হয়। যা অস্বস্তিজনকই শুধু নয় আপত্তিকরও ছিল বলে অভিযোগ ছাত্রীর। তবে এই ঘটনার ঠিক পরের পরীক্ষার দিনও আবার একই ঘটনা ঘটেছে। বুধবার 21 ফেব্রুয়ারি ছিল তাঁর প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের দ্বিতীয় পরীক্ষা। ছাত্রীর অভিযোগ, প্রায় দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পর যিনি গার্ড দিচ্ছিলেন তিনি বলেন অধ্যাপক তাঁকে ডাকছেন। তাঁকে অধ্যাপকের ঘরে যেতে হবে।
পরীক্ষা ছেড়ে ছাত্রীকে অধ্যাপকের ঘরে নিয়ে যান ওই গার্ড ৷ তিনি নিজে বাইরে থাকেন ৷ তারপরেই তাঁর সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ইমেলে রেজিস্ট্রারকে সম্পূর্ণটা জানিয়েছেন ওই ছাত্রী। অভিযোগ আসার পর সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বল আশ্বস্ত করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: