জলঙ্গি, 9 অগস্ট: অশান্ত বাংলাদেশে। অশান্তির আগুনে সীমান্তবর্তী এলাকার বাজারে টান পড়েছে পদ্মার ইলিশের। কোনওভাবে রুপালি শস্য ঢুকছে না মুর্শিদাবাদে। গত সপ্তাহে শেষ ইলিশের আমদানি হয়েছিল। ইলিশের আমদানি কম হওয়ায় এক ধাক্কায় খুচরো বাজারে দামও বেড়ে গিয়েছে। এক কেজির একটু বড় আকারের ইলিশ মাছের দাম কেজি পিছু 300 থেকে 400 টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বড় মাছের দাম কেজি প্রতি 500 টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে ।
বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এপার বাংলায়। বাজারে 1200 ও 1300 গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজি প্রতি 1,500-1,600 টাকায় বিক্রি হচ্ছে ৷ বৃহস্পতিবার জলঙ্গির বাজারে ইলিশ দু’ হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সর্বোচ্চ 1800 গ্রাম ওজনের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। সেই ইলিশের দাম 2,500 টাকা কেজি । আইনি পথে ইলিশের পাঠা এমতাবস্থায় চোরাপথে ইলিশ কিনে বাজারে বিক্রির প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে খুচরো ব্যবসায়ীরা।
জলঙ্গি সীমান্তের মাছ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, "নিয়মিত মাছ পাওয়া যায় না। যখন যেটুকু মাছ আসছে সেগুলি আমরা কিনে নিচ্ছি । মাছের জোগান বেশি থাকলে দাম কম থাকে। এখন যেহেতু খুব একটা বেশি পরিমাণে মাছ ঢুকছে না, তাই দাম কিছুটা বেশি আছে। এখন বাংলাদেশে যা অবস্থা, কবে আবার মাছ পাব জানি না। পদ্মার টাটকা ইলিশ এখানে পাওয়া যায় বলে কিছুটা দাম ভালো পাই আমরা। কিন্তু এখন সেই মাছ জমিয়ে রেখেই বিক্রি করতে হচ্ছে ।"
আর এক ক্রেতা কামারুজ্জামান শেখ বলেন, "প্রতিবছর জুলাই-অগস্ট মাসে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায়। জলঙ্গি ও সাগরপাড়ার বাজারে টাটকা মাছের আমদানি হয়। এখন সীমান্তে কড়াকড়ি বাড়ছে। সেজন্য ইলিশ পাচার অনেকটাই কমেছে। তবে যে পরিমাণ ইলিশ আসছে তা স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে । ডায়মন্ডহারবারের ইলিশও বাজারে আছে। কিন্তু সেই মাছের তুলনায় পদ্মার ইলিশের স্বাদ অনেক ভালো। তাই দাম বেশি হলেও বছরে অন্তত দুই তিনবার পদ্মার ইলিশ কিনে খাই আমরা। বাংলাদেশে অশান্তি বাড়তেই ইলিশের দাম এদিন বেড়ে গিয়েছে।"
জলঙ্গির মাছ বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, ডায়মন্ড হারবার কিংবা দীঘার ইলিশ অনেকদিন ধরেই তাঁরা বিক্রি করছেন ৷ তবে বছরের এই দুই তিন মাস একটু বেশি পদ্মার ইলিশ বিক্রি হয়। মাছ যত টাটকা হলে ভালো দাম পাওয়া যায় ৷ বর্তমানে মাছের জোগান কম আছে । তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশি পরিমাণে মাছ এপারে আসতে পারে ৷ তাই আপাতত ব্যবসায়ীরা মজুত করা মাছের উপরই ভরসা রাখছেন ৷