নদিয়া, 16 সেপ্টেম্বর: পুজোর আর এক মাসও বাকি নেই ৷ এবছর আরজি কর-কাণ্ডের জেরে অন্যান্য বছরের তুলনায় প্রতিমা তৈরির বরাত নেই সেভাবে ৷ তবুও যে ক'টা অর্ডার এসেছে তা তৈরিতেই ব্যস্ত পটুয়াপাড়া ৷ তাতেও বাধ সেধেছে নিম্নচাপ ৷ টানা বৃষ্টিতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত ৷ তিন থেকে চারদিনের একটানা বৃষ্টিতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের ৷ তার উপর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃষ্টি চলবে শনিবার পর্যন্ত ৷
তার আগে মঙ্গলবার বিশ্বকর্মা পুজো ৷ দুর্গার তুলনায় কম করে হলেও কর্মের দেবতা তৈরিরও ব্যস্ততা রয়েছে কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি থেকে শান্তিপুরের প্রতিটা কারখানাতে । কিন্তু নিম্নচাপের গেরোয় তিন থেকে চারদিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে প্রতিমা তৈরি করতে এবং শুকোতে বেগ পেতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের ৷ এই পরিস্থিতিতে কীভাবে কাজ শেষ করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা ৷
রোদ একেবারেই না থাকায় প্রতিমা শুকাতে ব্যবহার করতে হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ৷ তাতেও ইলেকট্রিক বিল বেশি আসায় খরচ বাড়ছে ৷ অনেক সময় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাও করা যাচ্ছে না ৷ এদিকে গত বছর থেকে প্রতিমার সাজসজ্জার মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে ৷ কর্মচারীর সংখ্যাও দিন দিন কমে যাওয়ায় অর্ডার পেলেও প্রতিমা তৈরিতে অনেকটাই বেগ পেতে হতে হচ্ছে মৃৎশিল্পীদের । তার উপরে আবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ।
বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তারা মহালয়ার আগেই তাদের বরাত দেওয়া প্রতিমা নিয়ে চলে যান মন্দির বা প্যান্ডেলে ৷ ক্লাব ও বারোয়ারির মণ্ডপগুলিতে চিন্ময়ী থেকে মৃন্ময়ী রূপে সেজে ওঠেন মা দুর্গা ৷ কিন্তু প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে বেশিরভাগ প্রতিমা এখনও পর্যন্ত সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি ৷ তবে গুটিকয়েক শিল্পী নিয়েই দিনরাত এক করে কাজ করতে হচ্ছে তাদের ৷ মৃৎশিল্পীদের কথায়, "অবিলম্বে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ যদি কেটে না যায় তাহলে বড়সড় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে ৷ এখন পুরোপুরি আতঙ্কে দিন কাটছে ।"