ETV Bharat / state

টানা বৃষ্টির জেরে শুকোচ্ছে না প্রতিমা, মৃৎশিল্পীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

ঘূর্ণিঝড় পরিণত গভীর নিম্নচাপে ৷ নাগাড়ে বৃষ্টি বাধ সেধেছে কাজে ৷ শুকোচ্ছে না প্রতিমা ৷ বাড়ছে খরচ ৷ সময়ে অর্ডার সাপ্লাই নিয়ে চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা ৷

Durgapur News
Etv Bharat (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 25, 2024, 10:59 PM IST

দুর্গাপুর, 25 অক্টোবর: কালীপুজোর আর সাতদিনও বাকি নেই । তার মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল বর্ষণে মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের । একটানা বৃষ্টি হওয়ায় মাটির প্রতিমা শুকিয়ে তোলাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে । প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বড় প্রতিমাগুলি শুকাতে কাঠকয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার করতে গিয়ে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের ।

দিনরাত এক করে খড় আর ত্রিপলের ছাউনির ভিতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ঠাকুর তৈরির কাজ ৷ দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কুমোরপাড়া । সেখানেই বেশ কিছু চালায় ছাউনি খাটিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে ৷ এখান থেকেই মূর্তি পৌঁছে যাবে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে ৷ তবে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা ৷ খড়ের উপর মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে । রং করার সময় ছাউনির ভিতর বৃষ্টির জল ঢুকে অনেক মূর্তি গলে যাচ্ছে । এহেন অবস্থায় কী করে পুজোর আগে অর্ডার সাপ্লাই করবেন তা নিয়েই চিন্তায় কুমোরপাড়া ৷

কালীপুজোর আগে প্রতিদিন বৃষ্টিতে চিন্তিত কুমোরপাড়া (ইটিভি ভারত)

এই বিষয়ে শিল্পী জয়ন্ত পাল বলেন,"বংশপরম্পরায় আমরা এই কাজ করে আসছি । দুর্গাপুজোর আগে বৃষ্টির কারণে মূর্তি গড়তে সমস্যা দেখা দিয়েছিল । কালীপুজোর আগেও ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । রোদ হলে দু'ঘণ্টাতেই মূর্তি পুরো শুকিয়ে যায় ৷ কিন্তু ল্যাম্পের সাহায্যে শুকালে তাতে কেবল প্রতিমার বাইরের অংশটুকু শুকায় ৷ ভিতরটা ভিজেই থাকে ৷ ফলে দু'ঘণ্টা পর ফের মূর্তি ভিজে যায় ৷ ড্যাম্প হয়ে যায় ৷ রং করতে অসুবিধায় পড়তে হয় ৷ 50টা মতো মূর্তি গড়েছি । ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে । এতটাই বৃষ্টি হচ্ছে, জল ঢুকে যাচ্ছে ত্রিপলের ভেতর । চিন্তায় আছি কী করে মূর্তি গড়ার কাজ শেষ করব তা নিয়ে ।"

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই যথাসময়ে উদ্যোক্তাদের কাছে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা । কীভাবে মাটির প্রতিমাকে বাঁচানো যায় তার জন্য মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলির প্রায় 30টি কারখানা ।

দুর্গাপুর, 25 অক্টোবর: কালীপুজোর আর সাতদিনও বাকি নেই । তার মাঝে ঘূর্ণিঝড়ের জেরে প্রবল বর্ষণে মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের । একটানা বৃষ্টি হওয়ায় মাটির প্রতিমা শুকিয়ে তোলাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের কাছে । প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বড় প্রতিমাগুলি শুকাতে কাঠকয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার করতে গিয়ে খরচ অনেকটাই বেড়ে যাচ্ছে বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের ।

দিনরাত এক করে খড় আর ত্রিপলের ছাউনির ভিতর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে ঠাকুর তৈরির কাজ ৷ দুর্গাপুরের ট্রাঙ্ক রোড সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে কুমোরপাড়া । সেখানেই বেশ কিছু চালায় ছাউনি খাটিয়ে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে ৷ এখান থেকেই মূর্তি পৌঁছে যাবে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপে ৷ তবে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েছেন মৃৎশিল্পীরা ৷ খড়ের উপর মাটির প্রলেপ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে । রং করার সময় ছাউনির ভিতর বৃষ্টির জল ঢুকে অনেক মূর্তি গলে যাচ্ছে । এহেন অবস্থায় কী করে পুজোর আগে অর্ডার সাপ্লাই করবেন তা নিয়েই চিন্তায় কুমোরপাড়া ৷

কালীপুজোর আগে প্রতিদিন বৃষ্টিতে চিন্তিত কুমোরপাড়া (ইটিভি ভারত)

এই বিষয়ে শিল্পী জয়ন্ত পাল বলেন,"বংশপরম্পরায় আমরা এই কাজ করে আসছি । দুর্গাপুজোর আগে বৃষ্টির কারণে মূর্তি গড়তে সমস্যা দেখা দিয়েছিল । কালীপুজোর আগেও ফের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য একই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে । রোদ হলে দু'ঘণ্টাতেই মূর্তি পুরো শুকিয়ে যায় ৷ কিন্তু ল্যাম্পের সাহায্যে শুকালে তাতে কেবল প্রতিমার বাইরের অংশটুকু শুকায় ৷ ভিতরটা ভিজেই থাকে ৷ ফলে দু'ঘণ্টা পর ফের মূর্তি ভিজে যায় ৷ ড্যাম্প হয়ে যায় ৷ রং করতে অসুবিধায় পড়তে হয় ৷ 50টা মতো মূর্তি গড়েছি । ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখতে হচ্ছে । এতটাই বৃষ্টি হচ্ছে, জল ঢুকে যাচ্ছে ত্রিপলের ভেতর । চিন্তায় আছি কী করে মূর্তি গড়ার কাজ শেষ করব তা নিয়ে ।"

তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মাথায় নিয়েই যথাসময়ে উদ্যোক্তাদের কাছে প্রতিমা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন মৃৎশিল্পীরা । কীভাবে মাটির প্রতিমাকে বাঁচানো যায় তার জন্য মরিয়া লড়াই চালাচ্ছে দুর্গাপুরের কুমোরটুলির প্রায় 30টি কারখানা ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.