বর্ধমান, 25 জুলাই: আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার হলেও আলুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম 50 টাকা ছুঁতেই পথে নেমেছিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবারও কার্জনগেট চত্বরে পাইকারি বাজারে হানা দেয় প্রশাসন। এদিন বর্ধমানের বাজারগুলিতে সকালের দিকে আলুর দাম 35-40 টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে ৷
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার ব্লকগুলিতে আলুর দাম খতিয়ে দেখতে টাস্কফোর্স পথে নেমেছে। এছাড়া জেলার বিভিন্ন হিমঘরে কত পরিমাণ আলু মজুত আছে, তার স্টক তৈরি করা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি হিমগুলি থেকে আলু বের করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে হিমঘরগুলি থেকে প্রতিদিন গড়ে 40-50 বস্তা আলু সরকারের কাছে বিক্রি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান (সদর) মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, "বাজারগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে ৷"
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার হিমঘরগুলিতে এখনও পর্যন্ত 633967.65 মেট্রিক টন আলু মজুত আছে। বুধবার বিভিন্ন স্টোর থেকে 425.25 মেট্রিক টন আলু বের করা হয়েছে। ফলে বুধবার পর্যন্ত হিমঘর থেকে মোট 309561.62 মেট্রিক টন আলু বের করা হলো । প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’দিনে পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে পশ্চিম বর্ধমানের জন্য 219.50 মেট্রিক টন ও মুর্শিদাবাদের জন্য 20 মেট্রিক টন আলু পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার আলুর দাম যেখানে 28-30 টাকা ছিল। সেখানে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটের জেরে একলাফে আলুর দাম 15-20 টাকা বেড়ে যায়। তবে ব্যবসায়ীদের মতে আলুর যোগানের তুলনায় চাহিদা বেশি হওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে। তবে কেউ কেউ বলছেন কৃত্রিমভাবে আলুর দাম বাড়িয়ে একদল ব্যবসায়ী মুনাফা লুটতে শুরু করেছেন। ফলে ধর্মঘট উঠলেও আজ বৃহস্পতিবার আলুর দামের খুব একটা হেরফের হয়নি।
এদিন সকালে বর্ধমানের কার্জনগেট সংলগ্ন তেঁতুলতলা বাজারে আলুর দাম খতিয়ে দেখতে যায় পুলিশ ও প্রশাসন। এদিন জ্যোতি আলুর 35-37 টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করছে ৷ তবে ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় পুজো পর্যন্ত আলু ধরে রাখতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে ।