বর্ধমান, 20 অগস্ট: নেতারা আসছেন-যাচ্ছেন ৷ পুলিশ আসছে, আশ্বাস দিচ্ছে চলে যাচ্ছে ৷ ঘটনার পাঁচদিন পরেও তদন্ত কেন এগোল না ? কেন খুনি এখনও ধরা পড়ল না ? কাঁদতে কাঁদতে এই প্রশ্নই ছুঁড়ে দিলেন বর্ধমানের নান্দুরে খুন হওয়া তরুণীর মা ৷ তার প্রশ্ন খুনি কি ধরা পড়বে না। আমরা কি বিচার পাবো না ?
সোমবার বর্ধমানের নান্দুরে খুন হওয়া আদিবাসী তরুণীর বাড়িতে আসার কথা ছিল রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার। পরিবর্তে এদিন তাঁদের বাড়িতে আসে তৃণমূল কংগ্রেসের আদিবাসী সেলের আট সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ সেই প্রতিনিধি দলে থাকা আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডুর মোবাইলে ফোন করে তরুণীর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তরুণীর পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রী আশ্বাস দেন, খুনি ধরা পড়বে। পুলিশ তদন্ত করছে ৷
তরুণীর মা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, "যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা বললেন আসামীকে ধরতে পারেনি ৷ আমি তাঁদের বললাম, যে খুন করেছে তাকে আমি নিজের চোখে দেখতে চাই ৷ আর তার যেন ফাঁসি হয় ৷ ঘটনার পরে পাঁচদিন কেটে গেলেও এখনও কেউ ধরা পড়েনি। কেন ধরা পড়েনি, সেটাই তো আমার আফসোস। কীসের জন্য ধরা পড়েনি ? পুলিশ কেমন তদন্ত করছে, যে ধরতে পারছে না। পুলিশ এসে আমাকে সান্তনা দিয়ে চলে যাচ্ছে ৷ পাঁচদিন ধরে একই কথা শুনে আসছি ৷"
রাজ্য আদিবাসী সেলের চেয়ারম্যান দেবু টুডু বলেন, "নৃশংসভাবে ওই আদিবাসী তরুণীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ পুলিশের উপরে আস্থা রাখতে হবে ৷ দোষী ধরা পড়বে ৷ সাজা পাবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে 'মেয়েদের রাত দখলের' দিন বর্ধমানে উদ্ধার হয় এক তরুণীর গলা কাটা দেহ ৷ পূর্ব বর্ধমান জেলার বর্ধমান-2 ব্লকের নান্দুর এলাকায় গলার নলি কেটে এক আদিবাসী তরুণীকে খুন করা হয় ৷ তাঁর বাড়ি বর্ধমান থানার নান্দুর ঝাপানতলা এলাকায়। ওই যুবতি বেঙ্গালুরুর একটা শপিং মলে কাজ করতেন ৷ 12 অগস্ট তিনি বাড়ি ফেরে ৷ আর 14 অগস্ট রাত 8টা নাগাদ বাথরুম যাওয়ার নাম করে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বাড়ি থেকে বের হন ৷ তারপর আর বাড়ি ফেরেননি। কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তাঁর গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় জেলাজুড়ে ৷