কৃষ্ণনগর, 18 অক্টোবর: কেরোসিন তেল ঢেলেই পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তরুণীকে ? এমনই সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে জেলা পুলিশ সুপারের বয়ান থেকে ৷
ঘটনাস্থল থেকে প্যান্ডেলের পোড়া কাপড়, নির্যাতিতার পোড়া পোশাকের অবশিষ্ট এবং মাথার চুল সংগ্রহ করা হয়েছে। ফরেন্সিক বিভাগের দুই প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থলে দীর্ঘক্ষণ তদন্ত করেন। পাশাপাশি একাধিক নমুনাও সংগ্রহ করেছে ফরেন্সিক বিভাগের আধিকারিকরা।
এদিন ঘটনাস্থলে ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার কে অমরনাথ। পুলিশ সুপারের কথায়, "ময়না তদন্তের সময় ওই তরুণীর দেহ থেকে কেরোসিনের গন্ধ পাওয়া গিয়েছিল। একটি বোতল পাওয়া গিয়েছে ৷ তার মধ্যেও নীল রঙের তরল মিলেছে ৷ কেরোসিন বলেই প্রাথমিক অনুমান ৷" তরুণীকে পোড়ানোর সময় সেই কেরোসিন তেল ব্যবহার হতে পারে বলেই মনে করছেন পুলিশ সুপার ৷ তবে ফরেন্সিক রিপোর্ট হাতে পেলেই সেই বিষয় আরও স্পষ্ট হওয়া যাবে।
এদিন তিনি বলেন, "ইতিমধ্যেই ফরেন্সিক দলের যে কাজ তা শেষ হয়েছে। এইসব পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। পাশাপাশি ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট যখন হাতে আসবে, তখনই ঘটনার বিবরণ সম্পর্কে সম্পূর্ণ জানতে পারব।" অন্যদিকে তিনি আরও বলেন, "ঘটনার দিন অভিযুক্তের মোবাইল টাওয়ার লোকেশন থেকে শুরু করে যে যে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেছিলেন তাদের ডেকে বয়ান নেওয়ার কাজ চলছে। তবে বন্ধুদের তরফে সেইরকম অসঙ্গতি কিছু পাওয়া যায়নি। ঘটনার সময় অভিযুক্ত রাহুল বোস কোথায় ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"
গত মঙ্গলবার রাতে ওই তরুণীর দেহ উদ্ধারের খবর আসতেই গোটা এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বৃহস্পতিবার রাতে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর নির্যাতিতার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ ওই তরুণীর শেষ যাত্রার সময় রাস্তার পাশে প্রচুর মানুষও হাজির ছিল। এরপর রাতে নবদ্বীপ শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ওই তরুণীর। অন্যদিকে, এদিন ফের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা ৷ ছিলেন পুলিশ সুপারও ৷ এরপরই কোরেসিনের বিষয়টি সামনে এনেছেন পুলিশ সুপার ৷