কলকাতা, 25 জুন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'কড়া দাওয়াই'য়ে ফুটপাথ খালি করার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর কমিশনারেট ৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই গড়িয়াহাট, সল্টলেক-সহ বিধাননগরের বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাথ খালি করা শুরু হয়েছে ৷ সোমবার সতর্ক করার পরেও কাজ না হওয়ায় এদিন সকাল থেকেই বেআইনি হকার রাজের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ ।
বিধাননগর দক্ষিণ থানার 16 নম্বর ট্যাঙ্ক লাগোয়া কেবি ব্লকে ফুটপাথের উপর বেআইনি দোকানগুলিকে ভেঙে ফেলা হয় ৷ বিধাননগর পুর নিগম এবং দক্ষিণ থানার পুলিশের পক্ষ থেকে পুরো বিষয়টির তদারকি করা হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ প্রকাশের পর তৎপর বিধাননগর পুলিশ এবং বিধাননগর পুর নিগম । বিধাননগর ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানা থেকে ইন্সপেক্টর ইনচার্জের নেতৃত্বে পুলিশ এসে পৌঁছয় সেক্টর ফাইভ অঞ্চলে।
পুলিশ আধিকারিকরা ফুটপাথের উপরে থাকা দোকানগুলিকে চিহ্নিত করেন ৷ ফুটপাথ দখল করে যে সব দোকানদাররা রয়েছেন, তাঁদের ফুটপাথ খালি করা নির্দেশ দেওয়া হয় ৷ অনেক জায়গায় আবার এদিন সন্ধ্যার মধ্যে দখল করা জায়গা খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷
উচ্ছেদ হওয়া হকারদের অভিযোগ, তাঁরা দীর্ঘসময় ধরেই রাস্তার ধারে দোকান দিয়ে ব্যবসা করছেন ৷ কিন্তু আচমকা উঠতে বলায় অসুবিধায় পড়েছেন ৷ আবার এক ব্যক্তি জানান, তাঁদের ইউনিয়ন রয়েছে ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন ৷
বেআইনি হকার উচ্ছেদ অভিযান চলে দক্ষিণের গড়িয়া থেকে উত্তরের হাতিবাগান পর্যন্ত ৷ এমনকী, যদুবাবুর বাজারেও অ্যাকশনে নামে পুলিশ । ট্রিপল, লোহার বেআইনি কাঠামো গুড়িয়ে দেয় পুলিশ। গড়িয়াহাটে হকার আইন না মেনে ফুটপাথ দখল করে যে সকল হকাররা ব্যবসা করছিলেন তাঁদের দোকানও ভেঙে দেয় গড়িয়াহাট পুলিশ । ফুটপাথের এক তৃতীয়াংশ অংশের বাইরে যে সকল হকারদের দোকান রয়েছে, তা-ও ভেঙে দেওয়া হয় এদিন।
উল্লেখ্য, সোমবার নবান্নে সমস্ত পৌরসভা নিয়ে বৈঠকে হকার নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফিরহাদ হাকিম থেকে সুজিত বসু সকলকেই ভর্ৎসনা করেন তিনি । পুলিশের ভূমিকা নিয়েও চরম বিরক্তি প্রকাশ করেন । এর পরেই কলকাতাজুড়ে উচ্ছেদ অভিযানে নামে পুলিশ । তৎপরতা নজরে আসে ধর্মতলা, এসএসকেএম, গড়িয়াহাটের মতো এলাকায় ৷