কলকাতা, 12 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগের ঘটনায় তাঁর চার সহকারী চিকিৎসককে নোটিশ পাঠাল সিট (স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম) ৷ আজ এই চার চিকিৎসককে লালবাজার অথবা আরজি কর হাসপাতালের নিকটবর্তী টালা থানায় উপস্থিত হতে বলা হয়েছে ৷ তাঁদের সুবিধা মত দু'টি জায়গার মধ্যে একটি স্থানে উপস্থিত হওয়ার কথা ৷ তদন্তের স্বার্থে এই চার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে চান সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ডাক্তারি পড়ুয়া সঙ্গে ঘটনাটি ঘটার কয়েকঘন্টা আগে এই চার চিকিৎসক একসঙ্গেই ছিলেন ৷ রাতে তারা এক সঙ্গেই খাবার খেয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে ৷ সেদিন ওই তরুণীর মানসিক অবস্থা ঠিক কেমন ছিল, এই চার চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানতে চান সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷
এছাড়াও ওই ডাক্তারি পড়ুয়া সেদিন তাঁদের সঙ্গে কোন প্রকারের অন্যরকম ব্যবহার করেছিলেন কি না ? এই ঘটনার আগেও সঞ্জয় একাধিকবার ওই ডাক্তারি পড়ুয়াকে ফোনে উত্যক্ত করেছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ দু'জনের মধ্যে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছিল পুলিশ সুত্রের খবর।
শুক্রবার সকালে টালা থানায় খবর আসে, আরজি কর হাসপাতালের ইমারজেন্সি চারতলায় সেমিনার হলে এক ডাক্তারি পড়ুয়া অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছে ৷ খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ৷ দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল ৷
ডাক্তারি ওই পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় ৷ এরপরেই ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আরজি কর হাসপাতাল চত্বর ৷ 24 ঘণ্টার মধ্যেই ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের সিট গঠন করা হয় ৷ এই ঘটনায় সঞ্জয় রায় নামে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ ৷ শনিবার অভিযুক্তকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত ৷ ধৃতকে জেরা করে আপাতত বেশ কিছু তথ্য এসেছে লালবাজারের হাতে ৷ সেই সকল তথ্য যাচাই করতে রবিবারও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা ৷