কুশমন্ডি, 9 জুন: কবর দেওয়ার 20 দিন পর উঠল খুনের অভিযোগ ৷ তার জেরে কবর থেকে গর্ভবতী মহিলার দেহ খুঁড়ে বের করল পুলিশ ৷ রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি ব্লকের কালিকামড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতের বারোঘরিয়া লক্ষ্মীতলা এলাকায় ৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার কুশমন্ডি থানার পুলিশের উপস্থিতিতে গর্ভবতী মহিলার দেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ।
উল্লেখ্য, গঙ্গারামপুর থানার অন্তর্গত চম্পাতলি আখিরাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঝর্না মুর্মুর (20) সঙ্গে দুই বছর আগে বিয়ে হয়ে কুশমন্ডি বারোঘরিয়া লক্ষ্মীতলা এলাকার বছর ছাব্বিশের সনাতন হেমব্রমের । প্রায় দুই বছর ধরে সংসার চলার পরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন ঝর্না । বয়স খুব কম হওয়ার কারণে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ এই অবস্থায় গত 20 মে শ্বশুরবাড়িতে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ঘটনার পর দুই পরিবারের উপস্থিতিতে গ্রামের পাশেই কবরস্থ করা হয় ঝর্নাকে ।
এদিকে পরে মৃতার বাবা সুনীল মুর্মু কুশমন্ডি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁদের মেয়েকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মেরে ফেলা হয়েছে । সেই কারণে রবিবার সকালে কুশমন্ডির বিডিও দর্শনা শুব্বার উপস্থিতিতে গর্ভবতী বধূর মৃতদেহ কবর খুঁড়ে উদ্ধার করে পুলিশ ৷
বিমার টাকা ও সরকারি সাহায্য পেতে কবর থেকে তোলা হল দেহ, কেন ?
এই বিষয়ে এলাকাবাসী সত্যেন রায়ের কথায়, "গর্ভবতী মহিলা গত কুড়ি দিন আগে মারা যান ৷ আজ সেই মৃতদেহ কবর থেকে খুঁড়ে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় । আমরা গ্রামবাসীরা জানতাম গৃহবধূর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে । মাটি দেওয়ার সময় দুই পরিবারই উপস্থিত ছিল ৷ কিন্তু সেই সময় কেন কোনও অভিযোগ করেনি জানি না । তবে ময়নাতদন্ত করলেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, খুন না সাধারণ মৃত্যু ।"
বিষয়টি নিয়ে গঙ্গারামপুর মহকুমার পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য জানান, কুশমন্ডি ব্লকের কালিকামড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েত বারোঘরিয়া লক্ষ্মীতলা এলাকায় গর্ভবতী মহিলার মৃতদেহ কবর খুঁড়ে উদ্ধার করেছে পুলিশ । কী কারণে গর্ভবতী মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে ।