মালদা, 28 জানুয়ারি: আরজি করে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার ৷ আদালতে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, তাঁরা সঞ্জয়ের ফাঁসি চায় না ৷ এই বিষয়ে নির্যাতিতার পরিবারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ ৷
তিনি বলেন, "নির্যাতিতার পরিবার কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না ৷ পরিবার কেন অভিযুক্তর ফাঁসি চায় না সেটা পরিবারের লোকজনই বলতে পারবেন ৷ তবে ক্রিমিনাল কেস যখন একবার হয়ে যায় তখন আর পরিবারের কিছু থাকে না ৷ এটা স্টেট ভার্সেস যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার কেস হয়ে যায় ৷ সেখানে পরিবারের বলার কিছু থাকে না ৷ আমি কী চাইছি বা কী আমার প্রয়োজন সেসব কথার কোনও মূল্য থাকে না ৷ তখন একদিকে সরকার, অন্যদিকে অভিযুক্ত ৷"
উদয়নের আরও বক্তব্য, "নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলেছেন ৷ তাঁরাই সিবিআই দাবি করেছিলেন ৷ রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা রাখতে পারেননি ৷ তার ফলে সিবিআই হয়েছে ৷ কোর্টের তত্ত্বাবধানে তদন্ত হয়েছে ৷ তারপরেও সিবিআই এমন কোনও কিছু কোর্টে পেশ করতে পারেনি যাতে প্রমাণিত হয় এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত ৷ কেসটা যে বিরলের মধ্যে বিরলতম, সেটাও সিবিআই প্রমাণ করতে পারেনি ৷ ফলে ফাঁসি হয়নি, যাবজ্জীবন হয়েছে ৷ দেখা যাক, ওটা নিয়ে কী হয় ৷"
সাধারণতন্ত্র দিবসের বিকেলে কিছুক্ষণের জন্য মালদায় এসেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেদিন কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের সবদলপুর থেকে সুকদেবপুর পর্যন্ত ইন্দো-বাংলা সীমান্ত রাস্তায় তেরঙা যাত্রা করেন তিনি ৷ অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার প্রয়োজনীয় জমি না দেওয়ার জন্যই সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারছে না বিএসএফ ৷
এদিন মালদা কলেজের সায়েন্স ব্লকের উদ্বোধনে জেলায় আসেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী ৷ অনুষ্ঠান শেষে কলেজ থেকে বেরোনোর সময় শুভেন্দুর অভিযোগ নিয়ে উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "এ নিয়ে কিছু বলার নেই ৷ কেউ যদি ওতে আনন্দলাভ করে তবে আমরা কারও আনন্দ নষ্ট করতে পারি না ৷ শুভেন্দু এটা বলে যদি আনন্দ পায় তবে এটা ওর ব্যাপার ৷ ও চাপ সৃষ্টি করল আর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী 24 ঘণ্টার মধ্যে জমি দিয়ে দিলেন, ব্যাপারটা অত সহজও নয় ৷ কারণ, এটা একটা প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায় ৷ সেই প্রসেসটা আগে থেকেই হচ্ছে ৷ কাকতালীয়ভাবে হয়তো এমন সময় হয়েছে যে, ও দু'দিন আগে মালদায় এসেছে ৷ তাতে মনে হচ্ছে আমিই করে দিলাম ৷ ব্যাপারটা তা না ৷"