ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীকে কান ধরে চেয়ার থেকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন, কুলতলিতে তোপ সুকান্তর - Jaynagar Rape and Murder Case

কুলতলি থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে বিজেপি কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করল পুলিশ ৷ এগোতে বাধা দিলে সুকান্ত মজুমদার এবং অগ্নিমিত্রা পালদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

Updated : 2 hours ago

JAYNAGAR RAPE AND MURDER CASE
বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জ ৷ (নিজস্ব চিত্র)

কুলতলি, 6 অক্টোবর: পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও কর্মসূচি ৷ আর সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে রবিবার ধুন্ধুমার বাঁধল কুলতলি থানার কাছে ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ৷

রবিবার দুপুরের এই কর্মসূচিতে বিজেপির নেতা কর্মীদের ঠেকাতে, লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ পালটা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালরা ৷ কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ হতেই, ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেল সুকান্তকে ৷

কুলতলি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি সুকান্ত মজুমদারের ৷ (ইটিভি ভারত)

জয়নগরে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ যার প্রতিবাদে গতকালই কুলতলি থানা ঘেরা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ৷ আজ সকালে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করে কুলতলি থানার দিকে যায় ৷ তবে, রাস্তাতেই তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ ৷ এরপর রাস্তাতেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্য বিজেপির নেতারা ৷

জয়নগর-কাণ্ডে কল্যাণী জেএনএমে ময়নাতদন্ত, থাকবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট: হাইকোর্ট

সুকান্ত বলেন, "বাংলার নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ ৷ আমার-আপনার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য দু’টো সিভিক দিতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য 2 হাজার পুলিশ নিরাপত্তায় থাকে ৷ এমন মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা রাখতে চাই না ৷ এমন মুখ্যমন্ত্রীকে কান ধরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন ৷"

মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার দাবিতে এ দিন মমতাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, "আমরা একদিন মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাপয়েনমেন্ট নেব ৷ গিয়ে দেখব, উনি যে চেয়ারে বসেন, সেটায় ফেভিকল লাগানো আছে কি না ৷ এত কিছুর পরেও উনি চেয়ার ছাড়তে চাইছেন না ৷"

পরবর্তী সময়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন ৷ তবে, পিছু হঠতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ সেই সময় পুলিশ সুকান্ত মজুমদারদের বাধা দেয় এবং দু’তরফে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে, পুলিশের একটি দল বিজেপি কর্মীদের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায় ৷ বিজেপি কর্মীদের আটকাতে লাঠি চালানো হয় ৷

তখনই নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি, অগ্নিমিত্রা পাল এবং বাকি শীর্ষনেতারা পুলিশ ও দলীয় কর্মীদের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন ৷ সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের একপ্রকার হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ যদিও, সুকান্তর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান ৷

কুলতলি, 6 অক্টোবর: পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও কর্মসূচি ৷ আর সেই অভিযানকে কেন্দ্র করে রবিবার ধুন্ধুমার বাঁধল কুলতলি থানার কাছে ৷ সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার ৷

রবিবার দুপুরের এই কর্মসূচিতে বিজেপির নেতা কর্মীদের ঠেকাতে, লাঠিচার্জ করে পুলিশ ৷ পালটা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়লেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পালরা ৷ কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ হতেই, ঢাল হয়ে দাঁড়াতে দেখা গেল সুকান্তকে ৷

কুলতলি থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি সুকান্ত মজুমদারের ৷ (ইটিভি ভারত)

জয়নগরে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে ৷ যার প্রতিবাদে গতকালই কুলতলি থানা ঘেরা কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব ৷ আজ সকালে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপির নেতা-কর্মীরা মিছিল করে কুলতলি থানার দিকে যায় ৷ তবে, রাস্তাতেই তাঁদের ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ ৷ এরপর রাস্তাতেই অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পাল-সহ অন্যান্য বিজেপির নেতারা ৷

জয়নগর-কাণ্ডে কল্যাণী জেএনএমে ময়নাতদন্ত, থাকবেন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট: হাইকোর্ট

সুকান্ত বলেন, "বাংলার নারীদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ ৷ আমার-আপনার মেয়ের নিরাপত্তার জন্য দু’টো সিভিক দিতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী ৷ আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে পার্টি অফিসে যাওয়ার জন্য 2 হাজার পুলিশ নিরাপত্তায় থাকে ৷ এমন মুখ্যমন্ত্রীকে আমরা রাখতে চাই না ৷ এমন মুখ্যমন্ত্রীকে কান ধরে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন ৷"

মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফার দাবিতে এ দিন মমতাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, "আমরা একদিন মুখ্যমন্ত্রীর অ্যাপয়েনমেন্ট নেব ৷ গিয়ে দেখব, উনি যে চেয়ারে বসেন, সেটায় ফেভিকল লাগানো আছে কি না ৷ এত কিছুর পরেও উনি চেয়ার ছাড়তে চাইছেন না ৷"

পরবর্তী সময়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের সেখান থেকে সরে যেতে বলেন ৷ তবে, পিছু হঠতে চাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৷ দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন তিনি ৷ সেই সময় পুলিশ সুকান্ত মজুমদারদের বাধা দেয় এবং দু’তরফে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় ৷ অন্যদিকে, পুলিশের একটি দল বিজেপি কর্মীদের দিকে লাঠি নিয়ে তেড়ে যায় ৷ বিজেপি কর্মীদের আটকাতে লাঠি চালানো হয় ৷

তখনই নেতা-কর্মীদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি ৷ তিনি, অগ্নিমিত্রা পাল এবং বাকি শীর্ষনেতারা পুলিশ ও দলীয় কর্মীদের মাঝে দাঁড়িয়ে পড়েন ৷ সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের একপ্রকার হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷ যদিও, সুকান্তর কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে সরিয়ে নিয়ে যান ৷

Last Updated : 2 hours ago
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.