কৃষ্ণনগর, 16 অক্টোবর: লক্ষ্মীপুজোর সাতসকালে তরুণীর অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায় ৷ বুধবার সকালে দেহটি দেখতে পাওয়া যায় নদিয়ার কৃষ্ণনগরের আশ্রমপাড়ার একটি দুর্গাপুজো মণ্ডপের মধ্যে ৷ ঘটনাস্থলের কাছে ঢিল ছোড়া দূরত্বে অবস্থিত পুলিশ সুপারের কার্যালয় ৷
সঙ্গে সঙ্গে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয় ৷ পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে কৃষ্ণনগর শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় ৷ এদিন সকালে প্রথমে কয়েকজন প্রাতঃভ্রমণকারী দেহটি দেখতে পায় ৷ তাঁরা বুঝতে পারেননি যে সেটি মানুষের নাকি পুতুলের ৷ তাঁরা এলাকার বাসিন্দা চন্দনা দাসকে খবর দেন ৷
এলাকাবাসী চন্দনা দাস বলেন, "পথচলতি মানুষ, যাঁরা মর্নিং ওয়াক করতে যান, তাঁরা এসে খবর দিলেন, একটা কিছু পড়ে আছে ৷ সেটা দেহ না পুতুল, তা বুঝতে পারা যাচ্ছে না ৷ আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম একটি মেয়ের দেহ পড়ে আছে ৷ অর্ধদগ্ধ এবং অর্ধনগ্ন অবস্থায় ৷"
তিনি আরও বলেন, "মেয়েটির মুখ এবং সামনের অংশ পুড়িয়ে দিয়েছে ৷ মনে হচ্ছে বয়স 18 থেকে 20 বছরের মধ্যে হবে ৷ চুড়িদার পরা রয়েছে ৷ রোগা, ফর্সা গায়ের রং ৷" চন্দনা দেবীর অনুমান, কেউ ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে ৷ পরে দেহ পুড়িয়ে এলাকায় ফেলে রেখে গিয়েছে ৷ এখনও পর্যন্ত মৃত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি ৷
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিশ ৷ বুধবারই মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানা গিয়েছে ৷ ময়নারতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই পরিষ্কার হবে কীভাবে ওই তরুণীর মৃত্যু হয়েছে ৷ মৃতার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ ৷