কলকাতা, 3 মে: বৃহস্পতিবার রাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, নির্বাচনের সময় পুলিশ রাজভবনে প্রবেশ করতে পারবে না। ওই নিষেধাজ্ঞার 24 ঘণ্টার মধ্যেই রাজভবনে ঢুকল কলকাতা পুলিশ। তাদের দাবি, নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা তারা পায়নি। ফলত নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে তার তদন্তে সেখানে গিয়েছে পুলিশ।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনেরই এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। হেয়ার স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্তের জন্য বিশেষ দল গঠন করে কলকাতা পুলিশ। সেই সিটের দায়িত্বে আছেন কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তাঁর নেতৃত্বেই রাজভবনে যায় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ রাজভবনে ঢুকে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা সেখানে বেশ কিছুক্ষণ থাকার পর বেরিয়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। তবে এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কোন উচ্চপদস্থ আধিকারিক কোনও মন্তব্যই করেননি। তাছাড়াও এই বিষয়ে রাজভবনে তরফ থেকেও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় দফা ভোট শুরুর মাত্র কয়েকদিন আগে বেনজির ঘটনার সাক্ষী বাংলা। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াও মিলতে শুরু করেছে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই রাজ্যপালকে নিশানা করে শুরু করে বাংলার শাসক শিবির। আসরে নামেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা । রাতেই পরিস্থিতি নতুন মোড় নেয়। চন্দ্রিমাকে কার্যত বয়কট করে রাজভবন। রাজভবনে তাঁর প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। পাশাপাশি পুলিশের প্রবেশের উপরেও রাশ টানা হয়। যদিও কার্যক্ষেত্রে রাজভবনে পুলিশ প্রবেশ করল।
এদিকে, তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্য থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা আক্রমণের যে আবহ তৈরি করেছিলেন শুক্রবার রায়নার নির্বাচনী সভা থেকে আক্রমণের অভিঘাত আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দাবি, রাজ্যপাল দু'বার শ্লীলতাহানি করেছেন। শুধু তাই নয়, ওই মহিলারা কান্না দেখে তিনি নিজেও ব্যথিত হয়েছেন বলে জানান মমতা। তবে এই ঘটনার ঘনঘটার মধ্যেই রাজ্যপাল রাজ্য ছেড়েছেন।
আরও পড়ুন: