মেদিনীপুর, 22 মে: ষষ্ঠ দফা ভোটের মুখে একের পর এক বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা রাজ্য পুলিশের । গতকাল রাতে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোলাঘাটের ভাড়াবাড়ির পর ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়ক ও দুই বিজেপি নেতার বাড়িতে হানা দিল পুলিশ । গভীর রাতে আচমকা এই পুলিশি হানায় তাঁদের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তিন বিজেপি নেতার । এই পুলিশি তৎপরতা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হিরণ বলেন, এমন অভিযান চালাচ্ছে যেন পাকিস্তানের জঙ্গি ঢুকে পড়েছে ৷
হিরণ চট্টোপাধ্যায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে পুলিশি হানার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন ৷ সেখানে তাঁর অভিযোগ, "মঙ্গলবার রাত তিনটের সময় আমার আপ্ত সহায়ক তমোঘ্ন দের বাড়িতে হানা দেয় ঘাটাল থানার পুলিশ ৷ গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত তল্লাশি চলছে । গোটা পাড়ায় পুলিশে ছয়লাপ ৷ হিরণের সেক্রেটারি এটাই তাঁর অপরাধ ৷ পুলিশ এমন অভিযান চালাচ্ছে যেন পাকিস্তানের জঙ্গি ঢুকে পড়েছে এখানে ৷ এই হানায় তমোঘ্নর মা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ৷ যেখানে দেবের বিরুদ্ধে গুজরাতে সোনা চুরি, সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা চুরি, চাকরি দেওয়ার নামে তাঁর আপ্ত সহায়কের টাকা লুট, এসব অভিযোগ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে পুলিশের কোনও ভূমিকা নেই ৷"
-
Good morning Ghatalbasigon !
— Hiraan (@hiran_chatterji) May 22, 2024
Ghatal police has raided my secretary Tamoghno Dey’s house at 3am midnight and still they are here!
Ghatal police came to Kharagpur!
This’s the democracy in West Bengal ! @PMOIndia @AmitShah @SuvenduWB @amitmalviya pic.twitter.com/u6S2zQ8Ts5
খড়গপুরের পাশাপাশি মেদিনীপুর শহরে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার দুই বিজেপি নেতার বাড়িতেও হানা দেয় পুলিশ । মেদিনীপুর শহরের মীরবাজারে তন্ময় ঘোষের বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ হানা দেয় ৷ পাশাপাশি শহর সংলগ্ন আবাসে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার নেতা সৌমেন মিশ্রের বাড়িতে প্রায় একই সময়ে পুলিশি অভিযান হয় বলে জানিয়েছেন সৌমেন মিশ্রের স্ত্রী ।
তিনি বলেন, তিনি তাঁর দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন । গতকাল গভীর রাতে একদল পুলিশ এসে তাঁদের বাড়ি ঘিরে ফেলে । নানারকম ভাবে ভয় ভীতি দেখানোর চেষ্টা করে ও দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করে বলে অভিযোগ তাঁর । যদিও সে সময় বাড়িতে ছিলেন না সৌমেন মিশ্র । তিনি অভিযোগ করেন যে, দুই নাবালক শিশুকন্যাকে নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী । সৌমেন মিশ্র একজন প্রতিবন্ধী শিক্ষক ৷ দীর্ঘ 18 বছর শিক্ষকতা করছেন তিনি । তাঁর আদি বাড়ি আনন্দপুর থানার শোলডিহার গ্রামে ৷ কর্মসূত্রে মেদিনীপুরের আবাসে থাকেন ৷ যদিও গতকাল রাতে তিনি তাঁর আবাসের বাড়িতে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন সৌমেন । যদিও কেন এই অভিযান, সে ব্যাপারে পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
আরও পড়ুন: