কলকাতা, 11 মে: রাজভবনে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে নয়া মোড় ৷ পুলিশ ওই মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছে, জরুরি আলোচনার জন্য তিনি রাজভবনের কনফারেন্স রুমে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে তিনি এবং রাজ্যপাল 15-16 মিনিট ছিলেন ৷ এবার এই তদন্তে রাজভবনের এক চিকিৎসক ও এক সচিব-সহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ ৷ তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে ৷ 8 মে এই ঘটনায় একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করেছে রাজভবন ৷
শুক্রবার রাজভবনের ঘটনায় একটি নতুন সিসিটিভি ফুটেজ লালবাজারে হাতে আসে ৷ সূত্রের খবর, এই ফুটেজটি পূর্ত দফতরের তরফ থেকে পুলিশের হাতে এসে পৌঁছেছে ৷ ওই সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহনির অভিযোগকারী মহিলা সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নামছেন ৷ এদিকে রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা পুলিশের কাছে যাওয়ার আগে এক সচিবের ঘরে গিয়েছিলেন ৷
2 মে ওই ঘটনার পরদিন রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসার কথা ছিল ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, সেই বিষয়ে আলোচনা করতে অস্থায়ী মহিলা কর্মী রাজভবনের কনফারেন্স রুমে আসেন ৷ রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে সুপারভাইজারকে তিনি সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন ৷ মহিলার অভিযোগ, সুপারভাইজারকে দেখে রেগে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ পরে 7-8 মিনিট পর ওই কনফারেন্স রুম থেকে সুপারভাইজারকে চলে যেতে বলেন তিনি ৷ এরপর প্রায় 15-16 মিনিট পর্যন্ত ওই কনফারেন্স রুমে ছিলেন শুধুমাত্র রাজ্যপাল এবং ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মী ৷
কলকাতা পুলিশের কাছে যে ফুটেজ পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অভিযোগকারী মহিলা কর্মী কনফারেন্স রুমের নীচের সিঁড়ি দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে নেমে যাচ্ছেন ৷ তিনি পুলিশে যাওয়ার আগে রাজভবনের এক সচিব এবং এক চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলেন বলে জানা গিয়েছে ৷ এরপর পুলিশের দ্বারস্থ হন ৷ পুলিশ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি বিশেষের বিরুদ্ধে এই তদন্ত হচ্ছে না ৷ বরং রাজভবনের ভিতরে কী ঘটেছিল, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ লালবাজার একটি এসআইটি অর্থাৎ স্পেশাল ইনভেস্টিকেশন টিম বা বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছে ৷ এই দলের মাথায় রয়েছেন একজন আইপিএস আধিকারিক ৷
আরও পড়ুন: