মল্লারপুর, 15 মে: পারিবারিক বিবাদের জেরে দুই পরিবারের অশান্তি থামাতে গিয়ে মাথা ফাটলো এক পুলিশ কর্মীর । মার খেলেন আরও বেশ কয়েক জন পুলিশ কর্মী । প্রহৃত স্থানীয় বাসিন্দারাও । গ্রামবাসী ও পুলিশ, জখম মোট 10 জন । তাঁদের মধ্যে এক পুলিশ কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক । তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে বীরভূমের মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামে । স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মল্লারপুর থানার পাথাই গ্রামের মালপাড়ায় সপ্তাহ খানেক আগে পল্লবী মালের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রদ্যুত মালের । সবই ঠিক ছিল, কিন্তু ঝামেলার সূত্রপাত হয়, প্রদ্যুৎ মাল বিয়ের কয়েক দিন পর পাশের পাড়ার বাসিন্দা এক মহিলাকে বিয়ে করতে চান । শুধু তাই নয়, সোমবার টোটোতে করে বাড়ি ফেরার পথে তিনি ওই মহিলাকে কুপ্রস্তাব দেন বলে অভিযোগ । সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সঙ্গে ওই মহিলার ছবি পোস্ট করেন । সেই নিয়ে বচসা শুরু হয় ।
বুধবার বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে নিয়ে প্রদ্যুতের বাড়ি যান । কিন্তু মীমাংসার বদলে ঝামেলা আরও বেড়ে যায় । দুই পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয় । তারপর বিষয়টি নিয়ে দু’পক্ষ মল্লারপুর থানায় অভিযোগ করে ।
বৃহস্পতিবার বেলা গড়াতেই প্রদ্যুত বেশ কিছু লোকজন নিয়ে ওই মহিলার বাড়ি যান । শুরু হয় মারামারি । দু’পক্ষকে থামাতে গেলে গ্রামবাসীরা পুলিশের উপর চড়াও হয় । তাতে তিন এএসআই-সহ চার জন কনস্টেবল জখম হন । একজনের মাথা ফাটে । দু’জনের হাতে কোমরে গুরুতর চোট লাগে । তিন গ্রামবাসীও জখম হন । তাঁদের মল্লারপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করা হয়েছে । গুরুতর জখম হন ওই মহিলাও । তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে । প্রদ্যুত ঘটনার পর থেকে ঘরছাড়া । এএসআই জগন্নাথ ঘোষের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: