খণ্ডঘোষ, 12 জুলাই: স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ৷ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুলিশকে ৷ চড়াও হয় গ্রামবাসীরা ৷ শিক্ষককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ এমনকী পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করে গ্রামবাসীরা ৷
ইটের আঘাতে দু-একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন ৷ ঘটনায় পুলিশ আরও দশ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ ব্লকের একটা প্রাথমিক স্কুলের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ৷
স্থানীয় ও স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলের এক শিক্ষক এক ছাত্রীর গায়ে হাত দিয়েছে ৷ মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বাড়িতে গিয়ে ঘটনার কথা জানায় ৷ গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে স্কুলে চড়াও হলে ওই শিক্ষক একটা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে ৷ এদিকে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ পুলিশ এলে ধস্তাধস্তি শুরু হয় ৷
জানা গিয়েছে, পুলিশ আসার পরে গ্রামবাসীরা পুলিশকে ঘিরে দাবি করে, ওই শিক্ষককে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে ৷ পুলিশ স্কুলে ঢুকে ওই শিক্ষককে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা শিক্ষককে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ৷ ফলে পুলিশের সঙ্গে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয় ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি ৷
কোনওরকমে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে একটি পুলিশের গাড়ি বেরিয়ে যায় ৷ সেই গাড়ি লক্ষ্য করে তারা ইট ছুড়তে থাকে ৷ এদিকে সেখানে থাকা অন্য পুলিশেরা আরও একটা গাড়িতে উঠে পালানোর চেষ্টা করে ৷ গ্রামবাসীদের ইটের আঘাতে একটা পুলিশের গাড়ি ভেঙে যায় ৷ কমবেশি আহত হয় দু-একজন পুলিশ কর্মী ৷ পুলিশ এই ঘটনায় দশ জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করেছে ৷ স্থানীয় বাসিন্দা রীনা রায় বলেন, "একটা বাচ্চা মেয়ের শ্লীলতাহানি করেছে একজন শিক্ষক। স্কুলের মেয়েদের কাছ থেকে এই খবর জানতে পারি। ওই শিক্ষককে আমাদের হাতে তুলে দেওয়া হোক। শাস্তি আমরা দেব। ওই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া উচিত ৷"
পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "খণ্ডঘোষ এলাকায় একজন শিক্ষক এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেছেন ৷ ফলে অভিভাবকেরা স্কুলের বাইরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ৷ খবর পেয়ে খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ ওই স্কুলে যায় ৷ পুলিশকে ঘিরে ধরে তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ৷ পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছুড়তে থাকে ৷ পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায় ৷ এক পুলিশ কর্মীর চোট লেগেছে ৷ এই ঘটনার জন্য আমরা দশ জনকে গ্রেফতার করেছি ৷"