ETV Bharat / state

দুর্গাপুর থেকে জামতাড়া গ্যাংয়ের 3 সদস্য গ্রেফতার, উদ্ধার শতাধিক সিমকার্ড - Jamtara Gang - JAMTARA GANG

Jamtara Gang Members Arrested: দুর্গাপুর থেকে জামতাড়া গ্যাংয়ের 3 সদস্যকে পাকড়াও করল ঝাড়গ্রাম পুলিশ ৷ তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে শতাধিক সিমকার্ড, মোবাইল ফোন থেকে এটিএম কার্ড ৷ ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রামে ৷

Jamtara Gang
জামতাড়া গ্যাংয়ের 3 সদস্যকে গ্রেফতার (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 13, 2024, 1:31 PM IST

দুর্গাপুর, 13 অগস্ট: বাংলায় এসে জামতাড়া গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড-সহ মোট তিনজন গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রামের পুলিশ ৷ ফরিদপুর থানা এলাকার ইছাপুর গ্রাম থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়েছে । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার শতাধিক সিমকার্ড, বহু মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড-সহ প্রচুর নথিপত্র । ঝাড়গ্রামের সাইবার ক্রাইম সেল ও ফরিদপুর থানার যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিন জনকে ৷ রাতেই ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রামে ৷

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এরা দুর্গাপুরের বুকে বসে বিভিন্ন জেলার আমজনতার আ্যকাউন্ট হ্যাক করে এবং এটিএম হ্যাক করে ফাঁকা করে দেয় গ্রাহকদের আ্যকাউন্ট । এমনকী অন্যের আ্যকাউন্ট হ্যাক করে বিভিন্ন সামগ্রী কিনে ফেলত অনলাইন থেকে । ধৃত তিন জন জামতাড়ার বাসিন্দা সুরজ দাস, তার শ্যালক দুর্গাপুর থানা এলাকার অমরাবতীর বাসিন্দা আকাশ দাস এবং তার আত্মীয় ফরিদপুর থানার সরপী মোড়ের বাসিন্দা বিকাশ দাস ৷ পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার ইছাপুর গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই তিন জন এই সাইবার ক্রাইমের চক্র চালাচ্ছিল ৷

সাইবার ক্রাইমের পীঠস্থান বলে পরিচিত বিহারের জামতাড়া । জানা গিয়েছে, জামতাড়ার সাইবার ক্রাইমের মাস্টারমাইন্ড সুরজ দাস বেশ কিছুদিন ধরে ডেরা বেঁধেছিল দুর্গাপুরের ইছাপুর গ্রামে ৷ অভিযোগ, এই সুরজ দাস দুর্গাপুরের তার দুই আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে এটিএম জালিয়াতি থেকে অনলাইন হ্যাকের কাজ করত ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষদের অন্ধকারে রেখে চালাচ্ছিল তারা এই সাইবার অপরাধ ।

ঝাড়গ্রামের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্ত চালাতে গিয়ে এই সুরজ দাস এবং তার দুই সহযোগী বিকাশ ও আকাশ দাসের সম্পর্কে জানতে পেরে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানায় আসেন । তাঁরা ফরিদপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই থানা এলাকার ইছাপুর গ্রামে অভিযান চালান । সেখানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা সুরজ দাস ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সুরজ যে ঘরে থাকত সেখান থেকে পুলিশ 14টি এটিএম কার্ড, 12টি মোবাইল, 2টি ট্যাব, 123টি সিম কার্ড-সহ প্রচুর নথিপত্র পুলিশ পায় । সমস্ত কিছুই বাজেয়াপ্ত করে গ্রেফতার হওয়া তিন জনকেই রাতেই ঝাড়গ্রাম নিয়ে যায় পুলিশ । এই সুরজ দাসের হাত ধরেই আকাশ ও বিকাশের সাইবার ক্রাইমে হাতেখড়ি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের মেইনগেট, কাদারোড, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, বিধাননগরের বেশ কিছু এলাকায় সাইবার ক্রাইমের বেশ কিছু পান্ডা ডেরা বেঁধেছে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে । এরা মুলত এটিএম হ্যাকে সকলেই দক্ষ । আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন,"এখনও পর্যন্ত বহু সাইবার ক্রাইমের ঘটনার তদন্তে সাফল্য এসেছে । প্রতারিতদের অনেকেই তাদের টাকা ফেরত পেয়েছেন । পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে । অনেককে গ্রেফতার করা গিয়েছে । বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে ।"

পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হয়েছে, ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় জানাতে ৷ এরপরেও অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিলেও তাদের ভাড়াটিয়াদের বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছে জমা করেনি ৷ আর যার কারণেই এই ধরনের অপরাধীরা দুর্গাপুরে ডেরা বাঁধছে বলেও অভিযোগ উঠছে ।

দুর্গাপুর, 13 অগস্ট: বাংলায় এসে জামতাড়া গ্যাংয়ের মাস্টারমাইন্ড-সহ মোট তিনজন গ্রেফতার করল ঝাড়গ্রামের পুলিশ ৷ ফরিদপুর থানা এলাকার ইছাপুর গ্রাম থেকে তাদের পাকড়াও করা হয়েছে । তাদের কাছ থেকে উদ্ধার শতাধিক সিমকার্ড, বহু মোবাইল ফোন, এটিএম কার্ড-সহ প্রচুর নথিপত্র । ঝাড়গ্রামের সাইবার ক্রাইম সেল ও ফরিদপুর থানার যৌথ অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে এই তিন জনকে ৷ রাতেই ধৃতদের নিয়ে যাওয়া হয় ঝাড়গ্রামে ৷

অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে এরা দুর্গাপুরের বুকে বসে বিভিন্ন জেলার আমজনতার আ্যকাউন্ট হ্যাক করে এবং এটিএম হ্যাক করে ফাঁকা করে দেয় গ্রাহকদের আ্যকাউন্ট । এমনকী অন্যের আ্যকাউন্ট হ্যাক করে বিভিন্ন সামগ্রী কিনে ফেলত অনলাইন থেকে । ধৃত তিন জন জামতাড়ার বাসিন্দা সুরজ দাস, তার শ্যালক দুর্গাপুর থানা এলাকার অমরাবতীর বাসিন্দা আকাশ দাস এবং তার আত্মীয় ফরিদপুর থানার সরপী মোড়ের বাসিন্দা বিকাশ দাস ৷ পুলিশ জানিয়েছে, দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানার ইছাপুর গ্রামে বাড়ি ভাড়া নিয়ে এই তিন জন এই সাইবার ক্রাইমের চক্র চালাচ্ছিল ৷

সাইবার ক্রাইমের পীঠস্থান বলে পরিচিত বিহারের জামতাড়া । জানা গিয়েছে, জামতাড়ার সাইবার ক্রাইমের মাস্টারমাইন্ড সুরজ দাস বেশ কিছুদিন ধরে ডেরা বেঁধেছিল দুর্গাপুরের ইছাপুর গ্রামে ৷ অভিযোগ, এই সুরজ দাস দুর্গাপুরের তার দুই আত্মীয়কে সঙ্গে নিয়ে এটিএম জালিয়াতি থেকে অনলাইন হ্যাকের কাজ করত ৷ রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মানুষদের অন্ধকারে রেখে চালাচ্ছিল তারা এই সাইবার অপরাধ ।

ঝাড়গ্রামের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তদন্তকারী আধিকারিকরা তদন্ত চালাতে গিয়ে এই সুরজ দাস এবং তার দুই সহযোগী বিকাশ ও আকাশ দাসের সম্পর্কে জানতে পেরে দুর্গাপুরের ফরিদপুর থানায় আসেন । তাঁরা ফরিদপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ওই থানা এলাকার ইছাপুর গ্রামে অভিযান চালান । সেখানেই বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা সুরজ দাস ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ । সুরজ যে ঘরে থাকত সেখান থেকে পুলিশ 14টি এটিএম কার্ড, 12টি মোবাইল, 2টি ট্যাব, 123টি সিম কার্ড-সহ প্রচুর নথিপত্র পুলিশ পায় । সমস্ত কিছুই বাজেয়াপ্ত করে গ্রেফতার হওয়া তিন জনকেই রাতেই ঝাড়গ্রাম নিয়ে যায় পুলিশ । এই সুরজ দাসের হাত ধরেই আকাশ ও বিকাশের সাইবার ক্রাইমে হাতেখড়ি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷

উল্লেখ্য, দুর্গাপুরের মেইনগেট, কাদারোড, স্টেশন সংলগ্ন এলাকা, বিধাননগরের বেশ কিছু এলাকায় সাইবার ক্রাইমের বেশ কিছু পান্ডা ডেরা বেঁধেছে বলেও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে । এরা মুলত এটিএম হ্যাকে সকলেই দক্ষ । আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় বলেন,"এখনও পর্যন্ত বহু সাইবার ক্রাইমের ঘটনার তদন্তে সাফল্য এসেছে । প্রতারিতদের অনেকেই তাদের টাকা ফেরত পেয়েছেন । পুলিশ ধারাবাহিক অভিযান চালাচ্ছে । অনেককে গ্রেফতার করা গিয়েছে । বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে ।"

পুলিশের পক্ষ থেকে বারংবার বলা হয়েছে, ভাড়াটিয়াদের তথ্য থানায় জানাতে ৷ এরপরেও অনেকেই বাড়ি ভাড়া দিলেও তাদের ভাড়াটিয়াদের বিস্তারিত তথ্য পুলিশের কাছে জমা করেনি ৷ আর যার কারণেই এই ধরনের অপরাধীরা দুর্গাপুরে ডেরা বাঁধছে বলেও অভিযোগ উঠছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.