জলপাইগুড়ি, 7 সেপ্টেম্বর: নাবালিকাকে ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত সেনা জওয়ান ৷ তাকে 25 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিলেন জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠি ৷ জুলাই মাসে ময়নাগুড়ির এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে দোষীকে 25 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছিলেন বিচারক । এবার ফের বানারহাট থানার নাবালিকাকে ধর্ষণের অপরাধে একই শাস্তি দিলেন বিচারক ।
জানা গিয়েছে, নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনাটি বানারহাট থানার অন্তর্গত বিন্নাগুড়িতে ৷ জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের সহকারি সরকারি আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানান, ঘটনাটি ঘটেছিল 2022 সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে ৷ কেউ না থাকার সুযোগে নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে সেনা জওয়ান ৷ এরপর তাকে জবরদস্তি গর্ভ-নিরোধক ওষুধও খাওয়ায় সে ৷
এদিকে ওই বছরের 6 মে নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়ে ৷ তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ৷ সরকারি আইনজীবী বলেন, "জানা যায়, নাবালিকার অসম্পূর্ণ গর্ভপাত হয়েছে ৷ ডাক্তাররা নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করে নেন ৷ এরপর ডাক্তারই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান ৷" ধর্ষক ও নাবালিকার বাবা একই বিভাগের কর্মী ৷ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর নাবালিকা তার বাবা-মাকে সব কথা খুলে বলে ৷ জানায়, ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছে সেনা জওয়ান ৷
এরপর 2022 সালের 9 মে তারিখে বানারহাট থানার পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্তে নামে ৷ নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগে সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয় । কাস্টডি ট্রায়ালে থাকাকালীন শনিবার বিচারক সাজা ঘোষণা করলেন ৷ এই মামলায় ডাক্তারও সাক্ষী দিয়েছেন ৷
জলপাইগুড়ির আইনজীবী দেবাশিস দত্ত বলেন, "ঘটনার পর 13 জনের সাক্ষী নেওয়া হয় ৷ পকসো আদালতের স্পেশাল কোর্টে এই মামলার বিচার চলে ৷ সব পক্ষের সাক্ষীর সওয়াল-জবাবের পর বিচারক ইন্দিবর ত্রিপাঠী অপরাধীকে 25 বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছেন ৷ এর সঙ্গে 1 লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করেন ৷ অন্যদিকে নির্যাতিতা নাবালিকাকে 3 লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক ৷"