কলকাতা, 1 মার্চ: প্রায় 10 বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে শুক্রবারই প্রথম কলকাতায় রাতে থাকছেন নরেন্দ্র মোদি। থাকছেন রাজভবনে। ঠিক এই কারণে গত দু'দিন রাজভবনের রাশ থাকা কার্যত এসপিজির দখলে চলে গিয়েছে। রাজভবনের রান্নাঘরও এখন নিরাপত্তা বাহিনীর দখলে । সব কিছুই এসপিজির কড়া নজরদারিতে রয়েছে। রাজভবনের কর্মীরাও এসপিজির নির্দেশ মতোই চলতে বাধ্য হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না রাধুনিরাও। সূত্রের খবর, তাঁরা এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য রান্না করছেন। তাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন নিরামিষ পদ।
রাজভবন সূত্রের খবর, দু'দফায় প্রধানমন্ত্রী রাতের খাবার সারবেন। স্টাটার বা প্রথমে থাকছে চা, সিঙ্গারা ও ভেজ পাকোড়া। তারপরই মেইন কোর্স। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ভেজ খিচুড়ি, মিক্সড ভেজ সুপ, রুটি, তুরডাল ফ্রাই, প্লেন রাইস, আলু পটল সবজি, আলী গোবি, পোস্তর বড়া স্যালাড,পাপড়, দই সন্দেশ। এই খাবারগুলো এসপিজির কর্মীরাই প্রধানমন্ত্রীকে সরবরাহ করবেন। রাজভবনের কর্মীরা খাবার সরবরাহের সুযোগ পাবেন না।
দপুরে ঝাড়খণ্ডের কর্মসূচি সেরে হুগলির আরামবাগে সভা করেন তিনি। তারপর বিকেল 5টা নাগাদ কলকাতার রাজভবনে আসেন। এরপর 5টা 40 মিনিট নাগাদ রাজভবনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা 6টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক শুরু হয়। প্রায় 20 মিনিট বৈঠক হয়। কিন্তু, 45 মিনিট পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শুধুই সৌজন্যমূলক কথা বার্তা হয়েছে। রাজ্যের বকেয়া নিয়েও কথা হয়েছে। তার থেকে অনেক বেশি আড্ডা হয়েছে।"মমতা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, সেই মিষ্টি আদৌ রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
এদিকে, পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী, আগামিকাল সকাল সাড়ে নয়'টা নাগাদ রাজভবন ছাড়বেন মোদি। যাবেন কৃষ্ণনগরে। রাজভবন থেকে কলকাতার আরসিটিসি হেলিপ্যাড সংযোগকারী রাস্তা আগামিকাল সকাল সাড়ে নয়'টার পর নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখা হবে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সেদিকে নজরও রাখবে। কৃষ্ণনগরে দুপুরের মধ্যে কর্মসূচি সেরে সেখান থেকে বিহারে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির। এরপর আবারও দিন কয়েক বাদে 8 তারিখ বারাসতে সভা করবেন মোদি। তার ঠিক একদিন আগে কলকাতায় মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর পড়ুন:
কড়া নিরাপত্তায় রাজভবনের রান্নাঘর ! তৈরি হল খিচুড়ি-গুজরাটি তরকারি; আর কী কী থাকছে মোদির নৈশভোজে? - রাজভবন
Modi West Bengal Visit: প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম রাতে কলকাতায় থাকছেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের জন্য একাধিক ব্যবস্থা হয়েছে রাজভবনে।
Published : Mar 1, 2024, 9:33 PM IST
|Updated : Mar 1, 2024, 9:49 PM IST
কলকাতা, 1 মার্চ: প্রায় 10 বছরের প্রধানমন্ত্রীত্বে শুক্রবারই প্রথম কলকাতায় রাতে থাকছেন নরেন্দ্র মোদি। থাকছেন রাজভবনে। ঠিক এই কারণে গত দু'দিন রাজভবনের রাশ থাকা কার্যত এসপিজির দখলে চলে গিয়েছে। রাজভবনের রান্নাঘরও এখন নিরাপত্তা বাহিনীর দখলে । সব কিছুই এসপিজির কড়া নজরদারিতে রয়েছে। রাজভবনের কর্মীরাও এসপিজির নির্দেশ মতোই চলতে বাধ্য হচ্ছেন। বাদ যাচ্ছেন না রাধুনিরাও। সূত্রের খবর, তাঁরা এই প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর জন্য রান্না করছেন। তাঁর জন্য তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন নিরামিষ পদ।
রাজভবন সূত্রের খবর, দু'দফায় প্রধানমন্ত্রী রাতের খাবার সারবেন। স্টাটার বা প্রথমে থাকছে চা, সিঙ্গারা ও ভেজ পাকোড়া। তারপরই মেইন কোর্স। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য ভেজ খিচুড়ি, মিক্সড ভেজ সুপ, রুটি, তুরডাল ফ্রাই, প্লেন রাইস, আলু পটল সবজি, আলী গোবি, পোস্তর বড়া স্যালাড,পাপড়, দই সন্দেশ। এই খাবারগুলো এসপিজির কর্মীরাই প্রধানমন্ত্রীকে সরবরাহ করবেন। রাজভবনের কর্মীরা খাবার সরবরাহের সুযোগ পাবেন না।
দপুরে ঝাড়খণ্ডের কর্মসূচি সেরে হুগলির আরামবাগে সভা করেন তিনি। তারপর বিকেল 5টা নাগাদ কলকাতার রাজভবনে আসেন। এরপর 5টা 40 মিনিট নাগাদ রাজভবনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধ্যা 6টা নাগাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বৈঠক শুরু হয়। প্রায় 20 মিনিট বৈঠক হয়। কিন্তু, 45 মিনিট পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শুধুই সৌজন্যমূলক কথা বার্তা হয়েছে। রাজ্যের বকেয়া নিয়েও কথা হয়েছে। তার থেকে অনেক বেশি আড্ডা হয়েছে।"মমতা প্রধানমন্ত্রীর জন্য মিষ্টি নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু, সেই মিষ্টি আদৌ রাতের খাবারের তালিকায় থাকবে কি না তা এখনও নিশ্চিত করে জানা যায়নি।
এদিকে, পূর্ব নির্ধারিত সময় সূচি অনুযায়ী, আগামিকাল সকাল সাড়ে নয়'টা নাগাদ রাজভবন ছাড়বেন মোদি। যাবেন কৃষ্ণনগরে। রাজভবন থেকে কলকাতার আরসিটিসি হেলিপ্যাড সংযোগকারী রাস্তা আগামিকাল সকাল সাড়ে নয়'টার পর নির্দিষ্ট সময় বন্ধ রাখা হবে। কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ সেদিকে নজরও রাখবে। কৃষ্ণনগরে দুপুরের মধ্যে কর্মসূচি সেরে সেখান থেকে বিহারে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী মোদির। এরপর আবারও দিন কয়েক বাদে 8 তারিখ বারাসতে সভা করবেন মোদি। তার ঠিক একদিন আগে কলকাতায় মিছিল করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর পড়ুন: