কলকাতা, 6 জুন: বিচারপতি অমৃতা সিনহার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর বেঞ্চ থেকে পুলিশ সংক্রান্ত মামলার শুনানি সরানোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে। মামলাটিকে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের রেগুলার বেঞ্চেই ফেরত পাঠাল বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ । হাইকোর্টের অবসরকালীন বেঞ্চ সরাসরি এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না ৷ এমনটাই জানাল ডিভিশন বেঞ্চ
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য মামলাকারীর হয়ে এ দিন বলেন, "মে মাসে বাণী রায় চৌধুরী নামে একজন মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে, বিচারপতি সিনহার স্বামী একটি মামলায় প্রভাব খাটিয়েছিলেন । পুলিশ সংক্রান্ত মামলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । ফলে হাইকোর্টের যে কোনো বিচারপতিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক । নাহলে কলকাতা হাইকোর্টের মত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাইকোর্টের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে ।" সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে জানান, মামলাকারী সঞ্জয় দাস কে তাই স্পষ্ট নয় । তিনি কোথায় আইন প্র্যাকটিস করেন? সঞ্জয় দাসের এই মামলা খারিজ করা উচিত । একইসঙ্গে তাঁর জরিমানা হওয়া উচিত ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত অবশ্য বলেন, "রাজ্যের এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই । আদালত যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই হবে ।" তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য, এটা হাইকোর্টের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত । সেটা এই বেঞ্চের বিচার করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি । তারপরই বিচারপতি চন্দের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির রেগুলার বেঞ্চে ফেরত পাঠাল ।
উল্লেখ্য, বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পুলিশের নিষ্ক্রীয়তা এবং অতি সক্রিয়তা সংক্রান্ত মামলা শুনানির দায়িত্ব কেন দেওয়া হয়েছে, প্রশ্ন তুলে বুধবার হাইকোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দ ও বিচারপতি অপূর্ব সিনহা রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা হয় ।