শিলিগুড়ি, 6 নভেম্বর: নাবালিকা পরিচারিকাকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের অভিযোগ । ঘটনায় ফিজিয়োলজিস্টকে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ভক্তিনগর থানার পুলিশ । ধৃতের নাম বজরং আগরওয়াল । ধৃতকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
এই বিষয়ে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, "অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু হয়েছে । অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছিল । তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে । সবদিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে ।"
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই বাবা-মা হারা ওই নাবালিকা । কাকুর বাড়িতেই মানুষ হচ্ছিল সে । কিন্তু সেখানেও নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা । এ দিকে, বাড়িতে সবসময়ের জন্য পরিচারিকার খোঁজ করছিলেন বজরং আগরওয়াল । তাঁর সঙ্গে দেখা হয় মালবাজারের ওই নাবালিকার পরিবারের । 2021 সালে পরিচারিকার কাজের জন্য শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয় 12 বছরের ওই নাবালিকাকে । পরিবর্তে থাকা খাওয়া ও বেতনও দেওয়া হচ্ছিল তাকে ।
অভিযোগ, বছর ঘুরতেই ধীরে ধীরে নাবালিকার উপর শুরু হয় অত্যাচার । কিন্তু অভাবের কারণে মুখ বুজে সহ্য করছিল সে । সম্প্রতি অত্যাচারের সীমা পার হয়ে যায় । চলতে থাকে মানসিক ও যৌন নির্যাতন । বাড়িতে একা পেলেই নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ । এরপরই ওই বাড়ি থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয় নাবালিকা ।
কোনও মতে বুদ্ধির জোরে 20 অক্টোবর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সোজা পিসি মিত্তাল বাস টার্মিনাসে পৌঁছায় নাবালিকা । সেখান থেকে বাস ধরে মালবাজারে পৌঁছয় সে । বাস থেকে নেমে সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় বাড়িতে পৌঁছয় নাবালিকা । বাড়ি পৌঁছে পরিবারকে সবটা জানায় । নাবালিকার কাকা বিষয়টি জানা মাত্র 24 অক্টোবর ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । এ দিকে নাবালিকা বাড়ি থেকে নিখোঁজ হতেই গা ঢাকা দেয় বজরং । এরপর সোমবার মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ ৷
নাবালিকার কাকা বলেন, "ভালো ভবিষ্যতের জন্য ওকে পাঠিয়েছিলাম । কিন্তু ওর উপর যে এই নারকীয় অত্যাচার হবে ভাবতে পারিনি । ওকে ধর্ষণ করা হয়েছে ।"