কলকাতা, 22 ফেব্রুয়ারি: হুগলির ডানকুনিতে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের 27 তম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সম্মেলন। সম্মেলন চলবে চারদিন। দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে, এবারের সম্মেলনে ডেলিগেট বা প্রতিনিধিদের জন্য থাকছে সচিত্র পরিচয়পত্র। ডেলিগেটদের হাতে যে রাজনৈতিক খসড়া দেওয়া হবে, সেখানেও থাকবে বিশেষ ইউনিক কোড। সংবাদমাধ্যমে বেরিয়ে যাচ্ছে দলের অন্দরের খবর। তা আটকাতেই এবার সিরিয়াল নম্বর কোডিং-সহ খসড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে খবর।
কোনও পিডিএফ থাকছে না। রাজ্য কমিটির এক সদস্যদের কথায়, "এই সচিত্র পরিচয়পত্রের বিষয়টি এবার প্রথম হচ্ছে।" এছাড়াও যে যে বিষয়ে আলোচনা বা প্রশ্ন উঠতে পারে তা নিয়েও দলের অন্দরে আলোচনা চলছে ৷ সূত্রের খবর, ভোটের আগে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে নিচুতলায় সংশয় প্রকাশ করা হচ্ছে বারবার। এছাড়াও নেতৃত্বের মধ্যে ভয়ভীতি, নির্বাচনী বিপর্যয় এবং জনসমর্থন হ্রাস বা বুথের সংগঠনে দুর্বলতা কাটাতে ব্যর্থতা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
গত তিন বছরে সিপিএমে পার্টি মেম্বার কমেছে 25 হাজার। তবে অন্তর্ভুক্তির সংখ্যাও কিছুটা বেড়েছে ৷ তবে বছর ভিত্তিক ডেটা অনুযায়ী, সদস্যপদ পাওয়ার এক বছরের মধ্যে যে পরিমাণ লোকজন মেম্বারশিপ ড্রপ করেছে তা উদ্বেগজনক। দুই 24 পরগনার বিষয়ও উঠে আসতে পারে আলোচনায় ৷ পাশাপাশি যেসব জেলায় নিয়ম না মেনে সম্পাদক করা হয়েছে তাঁদের বদলের ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। গরিব মানুষ এবং বিভিন্ন সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গে বিচ্ছিন্নতার উল্লেখ যেমন হতে পারে, তেমনই সম্মেলনে পার্টিতে মহিলা অন্তর্ভুক্তির বিষয়টিও উঠে আসতে পারে ৷
উল্লেখ্য, শনিবার পলিটব্যুরো কোঅর্ডিনেটর প্রকাশ কারাতের উপস্থিতিতে রাজ্য সম্মেলন শুরু হবে। পাহাড় থেকে সাগর পর্যন্ত 362 জন প্রতিনিধি, 60 জন দর্শক ও নয়জন সম্মানীয় প্রতিনিধি অংশ নেবেন। তাঁদের জন্যই ওই সচিত্র পরিচয়পত্র করা হয়েছে। ডানকুনি টাউনশিপের ভিতরে শান্তি মঞ্চে হবে সম্মেলন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য স্মরণে নামকরণ হয়েছে 'বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নগর' এবং সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণে 'সীতারাম ইয়েচুরি মঞ্চ'। এদিন বেলা 12টায় পতাকা উত্তোলন শহিদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হবে সম্মেলনের।
শান্তি মঞ্চের চারিদিকে সাজানো হয়েছে প্রয়াত সিপিএম নেতৃত্বের ছবি দিয়ে। 25 তারিখ দুপুর দু'টোয় সম্মেলন শেষে প্রকাশ্য সমাবেশ হবে ডানকুনি স্পোর্টিং মাঠে। সম্মেলনকে ঘিরে ডানকুনিতে তাই সাজ সাজ রব। মূল মঞ্চ যেমন সাজিয়ে তোলা হয়েছে পাশাপাশি ডানকুনি শহর সেজে উঠেছে লাল পতাকায়।