কলকাতা, 6 মার্চ: সদ্য প্রাক্তন হওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় গত বছর তিনেক ধরে স্কুল নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক নির্দেশ দিয়েছেন ৷ তাঁর যাবতীয় নির্দেশ এবার খারিজের জন্য লিখিত আবেদন জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে হাইকোর্টের দুই বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি শব্বর রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি সংক্রান্ত মামলাগুলির শুনানি চলছে ৷ এর মধ্যে বুধবার এই আবেদন করা হয় আদালতে ৷ বিভিন্ন সময়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের ফলে নিয়োগ বাতিল হওয়া শিক্ষকদের একাংশের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই মামলার শুনানি হবে বৃহস্পতিবার ৷
আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷ তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন ৷ প্রাক্তন বিচারপতি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে ওই সব নির্দেশগুলি দিয়েছিলেন ৷ এদিন দায়ের করা আবেদনে অভিযোগ করা হয়, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি থাকাকালীন সিঙ্গল বেঞ্চে বসে এই মামলা শুনেছেন ৷ সেই সময় তিনি কখনও 'বিপ্লব দীর্ঘজীবী হোক' বলেছেন ৷ আবার কখনও তৃণমূল দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করার হুমকি দিয়েছেন ৷
এছাড়া অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসেব চাওয়া থেকে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ- সবটাই পরিকল্পনা মাফিক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷ এই নির্দেশগুলি তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ৷ শুধু তাই নয়, এই সরকারকে কালিমালিপ্ত করতেই মন গড়া রায় দিয়েছেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৷
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী লক্ষ্মী তুঙ্গার মামলায় এই আবেদন করে নির্দেশ খারিজের আর্জি জানানো হয়েছে ৷ যদিও এই অভিযোগ নিয়ে সদ্য প্রাক্তন বিচারপতি মঙ্গলবারই বলেছেন, "হয় ওরা আইন জেনেও মিথ্যে বলছে ৷ অথবা কেউ আইন জানে না ৷" বিচারপতি থাকাকালীন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতেই প্রায় 12 টিরও বেশি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৷ চাকরি হারিয়েছেন কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থী। ফলে ডিভিশন বেঞ্চ যদি সেই সব নির্দেশ খারিজ করে, তাহলে ফের নতুন করে জটিলতা সৃষ্টির আশঙ্কা করছেন আইনজীবীরা ৷
আরও পড়ুন: