নদিয়া, 20 মার্চ: শিয়রে লোকসভা ভোট ৷ প্রার্থী থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সকলেই ব্যস্ত নির্বাচনী কাজে ৷ অথচ ভাগিরথী নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে নদীর চড়ে ভাঙনের কারণে ৷ কারণ এই নদীর পাড়ে রয়েছে 'জল প্রকল্প' ৷ ভরা গ্রীষ্ণেই এই ফাটল যে কোনও মুহূর্তে আগ্রাসী রূপ নিয়ে ধ্বংস করে দিতে পারে নদী তীরবর্তী এলাকার জনজীবন ৷ সেকথা চিন্তা করেই রীতিমতো ঘুম উড়েছে এলাকাবাসীর ৷
স্থানীয়দের কথায়, "জল প্রকল্পটি থেকে পাইপের মাধ্যমে পুরো শান্তিপুর শহরে পানীয় জল সরবরাহ হয় ৷ এই প্রকল্প লাগোয়া নদী চড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে ৷ ভাঙনের ফলে তলিয়ে যেতে পারে প্রকল্পটি ৷ অথচ এই নদী পাড় ভাঙন রোধে কোনও উদ্যোগ নেই প্রশাসনের ৷"
স্থানীয়দের দাবি, দীঘদিনের এই ভাঙন রোধ করতে কয়েকমাস আগে তৎপর হয় প্রশাসন ৷ দ্রুততার সঙ্গে নদীর পাড় ভাঙনের কাজ শুরু হয় ৷ কিন্তু হঠাৎ সেই কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ বর্তমানে যা পরিস্থিতি যেকোনও মুহূতে ভাঙনের জেরে নদী গ্রাসে চলে যেতে পারে এলাকাটি ৷ এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর 166 নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বৃন্দাবন প্রামাণিক বলেন, "এই ভাঙন রোধ করতে এর আগেও একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । সেচ দফতরের আধিকারিকরা একাধিকবার পর্যবেক্ষণে করে গিয়েছেন ৷
ইতিমধ্যেই শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী নদী ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছেন । তবে ফাটল কেন হচ্ছে এবং কতটা জায়গা জুড়ে হচ্ছে, সেটা দেখার জন্য এখন প্রাথমিকভাবে কাজ বন্ধ রয়েছে । আগামিদিনে পাকাপোক্তভাবে কাজ শুরু হবে ৷ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আপাতত বন্ধ রয়েছে নদী পাড় তৈরির কাজ ৷ শীঘ্রই 800 মিটারের বেশি এই নদী পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হবে।"
প্রসঙ্গত, এর আগে একাধিকবার নদী ভাঙনের জেরে এলাকাবাসীর ভিটেমাটি গঙ্গাবক্ষে চলে গিয়েছে । ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিঘা বিঘা চাষের জমি ৷ এই ফাটলের অবিলম্বে সমাধান না-হলে ভাঙন রোধ অসম্ভব বলে মনে করেছন এলাকাবাসী ৷
আরও পড়ুন: