বাঁকুড়া, 8 ফেব্রুয়ারি: 47 বছর বয়সি মহিলাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল এক ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার তালডাংরা থানা এলাকায় ৷ নির্যাতিতা মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ৷ অভিযোগ দায়েরের কথা জানার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত।
নির্যাতিতা মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, শারীরিক সমস্যার কারণে এক চিকিৎসক মহিলাকে ইসিজি করার পরামর্শ দেন । সেইমতো মহিলা তালডাংরা থানা এলাকার একটি ওষুধের দোকানে ইসিজি করাতে যান। ওই দোকানের মালিক ওষুধ বিক্রির পাশাপাশি একটি ডায়গনস্টিক সেন্টার চালান। সেখানেই মহিলাকে ইসিজি করতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ অভিযোগ, ইসিজি রুমের ভিতর ঢুকিয়ে ওই সেন্টারের মালিক 15 থেকে 20 মিনিট ধরে আপত্তিকর ও অশ্লীল আচরণ করেন মহিলার সঙ্গে। পরে ইসিজি রুমের বাইরে বেরিয়ে স্বামীকে সমস্ত বিষয়টি জানান মহিলা ৷ পাশাপাশি ওই সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে তালডাংরা থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা ও তাঁর স্বামী ।
মহিলার স্বামী বলেন, "এই ঘটনার পর আমরা জানতে পারছি ওই ওষুধের দোকান-প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের মালিকের বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে । আমার স্ত্রী বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে বলে বিষয়টি সামনে এসেছে । অবিলম্বে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক ৷ যাতে অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে সে এরকম আচরণ না করতে পারে ৷" তবে অভিযুক্ত স্বামীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী। অভিযুক্তের স্ত্রী'র দাবি, স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। চক্রান্ত করেই তাঁর স্বামীকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই তিনি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: