কলকাতা, 23 মে: ফের শহরে অঙ্গদানে নজির। একজনের থেকে নতুন প্রাণের দিশা পাচ্ছেন তিনজন। গত বুধবার মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান বছর 57-র বিশ্বরূপ রায়। পরবর্তী কালে তাঁর দেহ দান করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। দু'টি লিভারের মধ্যে একটি পাচ্ছেন এসএসকেএম হাসপাতালের বছর 29 বছরের এক মহিলা। অন্যটি কমান্ড হাসপাতালে ভরতি অন্য এক রোগী পাচ্ছেন । পাশাপাশি চোখ যাচ্ছে দিশা হাসপাতালের রোগীর কাছে।
বিশ্বরূপ রায়ের মৃত্যুর পর হাসপাতালের তরফে দেহ দানের আবেদন করা হয় পরিবারকে। তাতে রাজি হন বিশ্বরূপবাবুর দাদা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা। দাদা জানান, ভাই বিভিন্ন সামাজিক কাজ করতেন। গরিব মানুষকে অর্থ দিয়ে অথবা অন্যভাবে সাহায্য করতেন। ওঁর নিজেরও অঙ্গদানের ইচ্ছা ছিল। তাঁর ইচ্ছাকেই মযার্দা দেওয়া হয়েছে ৷ ফলে হাসপাতালের তরফ থেকে দেহ দানের প্রস্তাব এলে তাঁরা রাজি হয়ে যান ৷ ভাইয়ের অঙ্গ থেকে আরও অনেকে নতুনভাবে বাঁচতে পারবেন ভেবে খুশি দাদা ৷ তাঁর কথায়, "এর থেকে বড় আনন্দের আর কী হতে পারে ৷"
জানা গিয়েছে, মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বছর 57-র বিশ্বরূপ। শনিবার বাড়িতে পুজো করার সময় আচমকাই ঘরের মধ্যে পড়ে যান তিনি। পরিবারের লোক ঘরে ঢুকে দেখেন দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে রয়েছেন তিনি। আসতে আসতে তাঁর কথাও জড়িয়ে যেতে থাকে। তখন এক মুহূর্ত দেরি না করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় মুকুন্দপুরের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই ভরতি করা হয় বিশ্বরূপকে। পরের দিন অস্ত্রোপচার করা হয়। তবে শেষরক্ষা হল না ৷ বুধবার রাতেই প্রয়াত হন তিনি।
আরও পড়ুন