কলকাতা, 14 জুন: রাজভবনের ঘটনায় এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । অনুমতি থাকা সত্ত্বেও ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে তাঁকে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, এই অভিযোগে উচ্চ আদালতের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি ৷ মামালা দায়ের করার অনুমতিও দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা ৷ শুক্রবার দুপুর 2টোয় হবে শুনানি ।
ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের পরিবারের প্রায় 400 জনকে নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজভবন অভিযান শুরু করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ যদিও শেষ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছতে পারেননি তাঁরা ৷ রাজভবন লাগোয়া গ্রেট ইস্টার্ন মোড়ে বিকেল 5টা নাগাদ ব্যারিকেড করে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের ৷ প্রায় এক ঘণ্টা সেখানে অপেক্ষা করার পর শুভেন্দুর পথ ছাড়ে পুলিশ ৷ অবশেষে সেখান থেকে ফিরতে বাধ্য হন বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা ৷
এরপরই ক্ষুব্ধ বিরোধী দলনেতা বলেন, "আমি মমতার মতো ভাঙচুরের রাজনীতি করি না ৷ রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি ৷ রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজভবনের বাইরের রাস্তা পুলিশের তত্ত্বাবধানে ৷ তবে অন্য়ায় করেছে পুলিশ ৷ 144-এর নামে এখানে আটকাতে পারে না ৷ আমি মিছিল করে যাইনি ৷ ডিজি এবং স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল, সেটাই ওএসডি জানিয়েছেন ৷"
তিনি আরও বলেন, "ভোটের পর মানুষকে মেরেছে মমতা সরকার ৷ বাংলার মেয়ে, শিশুদের মেরেছে ৷ 1200 মানুষকে মেরেছে, 7 হাজার দোকান ভেঙেছে, 10 হাজার মানুষ ঘরছাড়া ৷ গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে ৷ আজ পুলিশ রাজ্যপালকে চ্য়ালেঞ্জ করেছে ৷ এই পুলিশই স্য়ালুট দিয়ে ঢোকাবে ৷ আমি ঠিক জায়গায় যাব ৷ এদের সম্মানের সঙ্গে বাড়ি ফেরাব ৷ আমি মমতার মতো অর্ধশিক্ষিত অশিক্ষিত নই ৷"
শুধু তাই নয়, রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন শুভেন্দু ৷ পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের উদ্দেশে খানিক হুমকির সুরে তিনি বলেন, "বিনীত গোয়েলের নেতৃত্বে আমাদের আটকানো হচ্ছে ৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে, তবু রাজ্য পুলিশ তাদের ব্যবহার করছে না ৷ এই লড়াই আরও তীব্র হবে ৷ পুলিশ আমাদের ঢুকতে না-দেওয়ায় মমতার ফ্যাসিবাদী চরিত্র এবং প্রতিহিংসামূলক চরিত্র মানুষ দেখতে পেল ৷ রাজ্যপালের অনুমোদন সত্ত্বেও আমাদের আটক করা হল ৷ রাজ্যপালকে মান্যতা দিচ্ছে না পুলিশ ৷ আমরা সঠিক জায়গায় একে চ্যালেঞ্জ করব ৷ বিনীত গোয়েলকে আমি হুঁশিয়ারি দিয়ে গেলাম ৷"
