কলকাতা, 24 মে: বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় সিআইডির জালে জিহাদ নামে বাংলাদেশের এক যুবক। তাকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিআইডি । পাশাপাশি জিহাদকে জেরা করে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ওই সাংসদের দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছিল । সাংসদের দেহ যাতে পচে না যায় তার জন্য ফ্ল্যাটের একটি ফ্রিজে রাখা হয়েছিল ওই দেহাংশগুলি । পরে দেহের টুকরোগুলি বিভিন্ন পলিথিন ব্যাগ মুড়ে পাচার করা হয়েছিল ।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় সাহায্য করেছিল এক রহস্যময়ী নারী । কিন্তু কে এই মহিলা ? এই বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি তদন্তকারীরা ৷ সূত্রের খবর, সিআইডির একটি বিশেষ ইউনিট বাংলাদেশেও পৌঁছেছে। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে বাংলাদেশ পুলিশের হাতে যে তিনজন গ্রেফতার হয়েছে তাদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন:
নিউটাউনের যে ফ্ল্যাটে বাংলাদেশের সাংসদ ছিলেন, সেখানে ইতিমধ্যেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা গিয়েছিলেন ৷ জানা গিয়েছে, সেই ফ্ল্যাট থেকে বেশ কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেন তাঁরা ৷ যার মধ্যে অন্যতম হল রক্তমাখা গ্লাভসের একটা প্যাকেট । এছাড়াও ফ্ল্যাটের আনাচ-কানাচ থেকে রক্তের দাগ এবং মাংসপিণ্ডও উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা ।
ভবানী ভবন সূত্রের খবর, বাংলাদেশের এক আততায়ীর কথাতেই জিহাদ এই খুনের ঘটনায় যুক্ত হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে । জিহাদ ছাড়াও আরও এক যুবককে ইতিমধ্যেই আটক করেছে সিআইডি । উল্লেখ্য, আচমকাই কলকাতায় চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হয়ে যান বাংলাদেশের সাংসদ আনওয়ারুল আজিম ৷ এরপর বরানগরের যে বাড়িতে তিনি উঠেছিলেন, সেই বাড়ির লোকই বরাহনগর থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করেন । এরপরেই জানা যায়, নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটে গিয়েছিলেন আজিম ৷ সেখানেই তাঁকে খুন করা হয় বলেও প্রাথমিক অনুমান গোয়েন্দাদের।
আরও পড়ুন: