ETV Bharat / state

প্রযুক্তি খাতে কর্মীর স্বার্থরক্ষার লড়াই, মে দিবসে প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে সরব আইটি ইউনিয়ন - May Day 2024

IT Employees Union on May Day 2024: সল্টলেক সেক্টর 5-এ একটা সময় কাজ করত প্রায় 50 হাজারের উপর ছেলে মেয়ে। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মোটামুটি 15 হাজার। এই খাতের কর্মীদের প্রাপ্য অধিকার ফেরাতেই লড়ছে অল ইন্ডিয়া আই টি এন্ড আই টি ই এস এমপ্লয়ি ইউনিয়ন।

May Day 2024
প্রযুক্তি খাতে কর্মীর স্বার্থ সুরক্ষায় লড়াই, মে দিবসে প্রাপ্য অধিকারের দাবিতে সরব আইটি ইউনিয়ন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 1, 2024, 10:57 PM IST

কলকাতা, 1 মে: রাজ্যের একসময় তৈরি হয়েছিল সল্টলেক সেক্টর 5। তথ্য প্রযুক্তি হাব। কাজ করতেন প্রায় 50 হাজারের উপর ছেলেমেয়ে। তবে বছর দশেক যাবৎ ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে সেই ক্ষেত্র। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মোটামুটি 15 হাজার। চাকরির নিশ্চয়তা থেকে, ওভার টাইম, ছুটি, কাজের নির্দিষ্ট সময় থেকে সামাজিক সুরক্ষা বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবেতেই কোপ পড়েছে। শ্রমিকদের সেই অর্জিত অধিকার ফেরাতেই লড়ছে অল ইন্ডিয়া আইটি অ্যান্ড আইটিইএস এমপ্লয়ি ইউনিয়ন।

মে দিবস উপলক্ষে তাদের অঙ্গীকার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী শ্রম কোড নয়, শ্রম আইন, শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার ফেরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে লকডাউন পরবর্তী ছাঁটাই ও অচলাবস্থা চলেছে । তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের আই টি ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া আইটি অ্যান্ড আইটিইএস এমপ্লয়ি ইউনিয়নের নিজস্ব রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে , 2011 সালে রাজ্যে সরকার পলা বদলের পর সেক্টর 5 ও নিউটাউনে কোনও বড় বিনিয়োগ হয়নি । একাধিক কোম্পানি বন্ধ করেছে তাদের দফতর। বছর তিনেক আগে একটি কোম্পানি একদিনের নোটিশে বন্ধ হয়ে যায় ৷ ফলে চাকরি হারায় একাধিক কর্মী। গত বছরের শুরুতে বন্ধ হয়েছে একটি কলসেন্টার সংস্থা, চাকরি হারিয়েছেন 178 জন কর্মী। ইউনিয়নের তরফ থেকে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও লেবার কমিশন অফিসে এই বিষয়গুলি জানান হয়। সরকারের তরফ কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি ।

2022-এর শেষ থেকে ভারতীয় স্টার্ট-আপ গুলি ব্যাপক ছাঁটাই ছাড়াও কর্মীদের কাজের যে নির্দিষ্ট সময়বিধি রয়েছে দেশের শ্রম আইন মোতাবেক লঙ্ঘিত হচ্ছে। ইউনিয়ন দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা করা 'মেক ইন ইন্ডিয়া ' ও 'স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া-র নামে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিষস্ট ও ইনভেস্টরদের দেওয়া ব্যাপক কর ছাড়, পুরোটাই ব্যর্থ। কর্মচারীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে। এছাড়াও দেশের বিপিও ও কেপিও সেক্টরে ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। বেতন কমিয়ে নাম মাত্র টাকায় নিয়োগ হচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি সুরজিৎ বসু বলেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে আর 8 ঘন্টা কাজ নির্দিষ্ট নেই। 15 থেকে 16 ঘণ্টা পর্যন্ত চলছে। বাড়িতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচ নেট খরচ কোনও টাকা কোম্পানি দিচ্ছে না। প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সাময়িক সময় কর্মী নিয়োগ বাড়ছে। শতাংশের হিসাবে স্থায়ী কর্মী এখন প্রায় 65:35 । আগামী দিনে এই ফারাক আরও বাড়বে। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়কে মাথায় রেখেই রাইট টু ডিস কানেক্ট কে শ্রমিক সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দাবি করা হয়েছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:

  1. কাজ দিতে ব্যর্থ তৃণমূল ! 'বহিরাগত' শ্রমিকদের পথ আটকে দিল শাসকদলেরই একাংশ
  2. জেএনইউতে ফের বাম রাজত্ব, ছাত্র সংসদে সহ-সভাপতি বাংলার অভিজিৎ

কলকাতা, 1 মে: রাজ্যের একসময় তৈরি হয়েছিল সল্টলেক সেক্টর 5। তথ্য প্রযুক্তি হাব। কাজ করতেন প্রায় 50 হাজারের উপর ছেলেমেয়ে। তবে বছর দশেক যাবৎ ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে সেই ক্ষেত্র। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তি কর্মীরা সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে মোটামুটি 15 হাজার। চাকরির নিশ্চয়তা থেকে, ওভার টাইম, ছুটি, কাজের নির্দিষ্ট সময় থেকে সামাজিক সুরক্ষা বা স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবেতেই কোপ পড়েছে। শ্রমিকদের সেই অর্জিত অধিকার ফেরাতেই লড়ছে অল ইন্ডিয়া আইটি অ্যান্ড আইটিইএস এমপ্লয়ি ইউনিয়ন।

মে দিবস উপলক্ষে তাদের অঙ্গীকার শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী শ্রম কোড নয়, শ্রম আইন, শ্রমিকের প্রাপ্য অধিকার ফেরাতে হবে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে লকডাউন পরবর্তী ছাঁটাই ও অচলাবস্থা চলেছে । তথ্য প্রযুক্তি কর্মীদের আই টি ইউনিয়ন অল ইন্ডিয়া আইটি অ্যান্ড আইটিইএস এমপ্লয়ি ইউনিয়নের নিজস্ব রিপোর্ট দাবি করা হয়েছে , 2011 সালে রাজ্যে সরকার পলা বদলের পর সেক্টর 5 ও নিউটাউনে কোনও বড় বিনিয়োগ হয়নি । একাধিক কোম্পানি বন্ধ করেছে তাদের দফতর। বছর তিনেক আগে একটি কোম্পানি একদিনের নোটিশে বন্ধ হয়ে যায় ৷ ফলে চাকরি হারায় একাধিক কর্মী। গত বছরের শুরুতে বন্ধ হয়েছে একটি কলসেন্টার সংস্থা, চাকরি হারিয়েছেন 178 জন কর্মী। ইউনিয়নের তরফ থেকে রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার ও লেবার কমিশন অফিসে এই বিষয়গুলি জানান হয়। সরকারের তরফ কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি ।

2022-এর শেষ থেকে ভারতীয় স্টার্ট-আপ গুলি ব্যাপক ছাঁটাই ছাড়াও কর্মীদের কাজের যে নির্দিষ্ট সময়বিধি রয়েছে দেশের শ্রম আইন মোতাবেক লঙ্ঘিত হচ্ছে। ইউনিয়ন দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণা করা 'মেক ইন ইন্ডিয়া ' ও 'স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া-র নামে ইন্ডাস্ট্রিয়ালিষস্ট ও ইনভেস্টরদের দেওয়া ব্যাপক কর ছাড়, পুরোটাই ব্যর্থ। কর্মচারীদের স্বার্থের বিরুদ্ধে গেছে। এছাড়াও দেশের বিপিও ও কেপিও সেক্টরে ব্যাপক ছাঁটাই চলছে। বেতন কমিয়ে নাম মাত্র টাকায় নিয়োগ হচ্ছে।

সংগঠনের সভাপতি সুরজিৎ বসু বলেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করে আর 8 ঘন্টা কাজ নির্দিষ্ট নেই। 15 থেকে 16 ঘণ্টা পর্যন্ত চলছে। বাড়িতে ব্যবহৃত বিদ্যুৎ খরচ নেট খরচ কোনও টাকা কোম্পানি দিচ্ছে না। প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সাময়িক সময় কর্মী নিয়োগ বাড়ছে। শতাংশের হিসাবে স্থায়ী কর্মী এখন প্রায় 65:35 । আগামী দিনে এই ফারাক আরও বাড়বে। কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়কে মাথায় রেখেই রাইট টু ডিস কানেক্ট কে শ্রমিক সুরক্ষা আইনে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দাবি করা হয়েছে ইউনিয়নের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন:

  1. কাজ দিতে ব্যর্থ তৃণমূল ! 'বহিরাগত' শ্রমিকদের পথ আটকে দিল শাসকদলেরই একাংশ
  2. জেএনইউতে ফের বাম রাজত্ব, ছাত্র সংসদে সহ-সভাপতি বাংলার অভিজিৎ
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.