কলকাতা, 26 জুন: রাজ্যের দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ-সংঘাত আব্যহত ৷ শপথ অনুষ্ঠানের যাবতীয় ব্যবস্থা করার পরেও এলেন না শাসকদলের দুই বিধায়ক ৷ বুধবার বেলা সাড়ে 12টা নাগাদ রাজভবনে এসে বিধায়ক পদে শপথ নেওয়ার কথা ছিল তাঁদের ৷ পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজভবন ছাড়লেন রাজ্যপালও ৷
শপথের জন্য রাজভবনের মার্বেল হলের পাশের ঘরে যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে প্রায় 40 জনের বসার ব্যবস্থা ছিল ৷ শপথ মুহূর্ত স্মরণীয় করে রাখতে চিত্র গ্রাহকরাও উপস্থিত ছিলেন। শপথ বাক্য পাঠ করাতে অপেক্ষায় ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ৷ কিন্তু, যাঁরা শপথ নেবেন সেই দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং রেয়াত হোসেন এলেন না রাজভবনে ৷ তাই আয়োজন থাকলেও অনুষ্ঠান হল না ৷
সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লির উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন ৷ কবে ফিরবেন, তা এখনও স্পষ্ট নয় ৷ ফলে, এদিন যেমন দুই বিধায়কের শপথ হল না, তেমনই এদিনের পর কবে তাঁরা শপথ নেবেন সে বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে রইল ৷ এমন ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা ৷
বেলা 12টার পর দুই বিধায়ক বিধানসভায় গিয়ে রাজ্যপালের আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন ৷ কারণ, মঙ্গলবারই তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বুধবার রাজভবনে আসবেন না ৷ রাজ্য বিধানসভাতেই বিধায়ক হিসাবে শপথবাক্য পাঠ করতে চান ৷ ফলে, রাজভবন ছেড়ে বিধানসভাতেই আসতে হবে রাজ্যপালকে ৷
পালটা সামাজিক মাধ্যমে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানান, রাজভবনেই শপথ নিতে হবে সায়ন্তিকা-রেয়াত হোসেনকে ৷ আইনের উদাহরণ টেনে দ্বিতীয়বার চিঠি পাঠান রাজ্যপাল ৷ যদিও সেই চিঠির কোনও উত্তর এদিন দুপুর পর্যন্ত রাজভবনে আসেনি বলেই খবর ৷ একারণে দুই বিধায়ক রাজভবনে শপথ নেবেন ধরে নিয়েই সমস্ত আয়োজন করা হয় ৷ কিন্তু, জটিলতা থেকেই গেল ৷ বরাহনগর ও ভগবানগোলার নব নির্বাচিত বিধায়কদের শপথ ঘিরে জটিলতা যে টানাপোড়েন চলছিল তাতে নতুন মাত্রা পেল এদিন।
উল্লেখ্য, এর আগে জলপাইরগুড়ির ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় রাজভবনে এসেই শপথ গ্রহণ করেছিলেন। স্পিকার ছাড়াই রাজভবনে রাজ্যপাল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান। এবারও সেই জটিলতা দেখা দেওয়ার শেষ পর্যন্ত শাসক দলেরই দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক কবে শপথ বাক্য পাঠ করবেন তা সময়ই বলবে।