বোলপুর, 30 জুলাই: অনুব্রত মণ্ডলের জেলমুক্তি না হওয়া পর্যন্ত, কোনও উচ্ছ্বাস নয় ৷ এমনই নির্দেশ জারি করা হয়েছে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৷ মঙ্গলবার গরুপাচারকাণ্ডে সিবিআইয়ের মামলায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রতকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷
তবে, ইডির আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিনের আবেদন দিল্লি হাইকোর্টে আটকে আছে ৷ ফলে এখনও তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে ৷ পুরোপুরি জেল-মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত তাই, এখনই কোনও উচ্ছ্বাস করা যাবে না বা সবুজ আবির খেলা যাবে না ৷ এমনটাই তৃণমূল কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ স্বাভাবিকভাবেই জামিনের নির্দেশের পরেও ফাঁকা বোলপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় এবং অনুব্রতর নীচুপট্টির বাড়ি ৷
2022 সালের 11 অগস্ট গরুপাচার মামলায় বোলপুরের নীচুপট্টির বাড়ি থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই ৷ পরে এই মামলায় যুক্ত হয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি ৷ যোগ হয় আর্থিক তছরুপের ধারা ৷ সেই মামলায় এই মুহূর্তে তিহাড়ে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল ৷
এদিন, সিবিআইয়ের গরুপাচার মামলা থেকে অনুব্রতকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ তবে, দিল্লি হাইকোর্টে ইডির আর্থিক তছরুপ মামলা থেকে এখনও জামিন মেলেনি ৷ তাই এখনই সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না তৃণমূলের এই দাপুটে নেতা ৷
প্রসঙ্গত, 2022-এ অনুব্রতর গ্রেফতারির পর, 2023 সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন ও এবছর লোকসভা নির্বাচন হয়েছে রাজ্যে ৷ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর 'প্রিয়' কেষ্টর জায়গায় কাউকে বীরভূম জেলা সভাপতি করেননি ৷ কোর কমিটি গঠন করে দলের সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন, সেই মতোই চলছে ৷ অনুব্রতর জামিনের খবর আসতেই জেলাজুড়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, আবার কি তাহলে সেই অনুব্রতরাজ ফিরবে ? ফের বীরভূমের রাশ কি অনুব্রতই ধরবেন ? ইত্যাদি প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে ৷
বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ বলেন, "অনুব্রত মণ্ডলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বন্দি করে রাখা হয়েছে ৷ জামিনের খবরে আমরা খুশি ৷ তিনি জেলায় আমাদের দলের অভিভাবক ৷ পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোট টিম অনুব্রতই পরিচালনা করেছে ৷ 2026 সালের নির্বাচন অনুব্রত মণ্ডলের নেতৃত্বেই হবে ৷"