জলপাইগুড়ি, 13 এপ্রিল: কৃষি বলয়, চা-বলয় ও পৌরসভা এলাকার জন্য লোকসভায় আওয়াজ তুলতে চান জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ডঃ নির্মল চন্দ্র রায়। অধ্যাপক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, "আমরা জলপাইগুড়িকে তিনটি জোনে ভাগ করি। একটি কৃষি বলয়, চা-বলয় ও পৌরসভা এলাকা। চা-বলয়ে একটা বড় সমস্যা রয়েছে। রাজ্য সরকার কাজ করলেও কেন্দ্রীয় সরকারের বড় ভূমিকা রয়েছে। সেটা পালন করছেন না। চা-শ্রমিকদের বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়া।"
তিনি আরও বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার যদি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে কোনও আইন নিয়ে আসে তাহলে ভালো হয়। সেটা আমি তুলে ধরব। নতুন আইন আনার দরকার আছে চা-শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য। তিস্তার সেচ প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প। কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা ছাড়া এটা করা সম্ভব নয় ।" এতদিন বিভিন্ন নির্বাচনে চা-বলয় মুখ ফিরিয়েছে তৃণমূলের প্রার্থীদের থেকে এই প্রশ্নের উত্তরে নির্মল চন্দ্র রায় জানান, গত উপনির্বাচনে চা-বলয় মুখ ফেয়ার তৃণমূল কংগ্রেসের দিক থেকে। এটা ঠিক নয়। কারণ ধূপগুড়ি উপ-নির্বাচনে চা-বলয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকেই আশির্বাদ করেছে।
বিজেপির প্রার্থী জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের রেলের উন্নয়ন নিয়ে প্রচারে নেমেছেন। এই বিষয়ে নির্মল রায় বলেন, "রেলস্টেশন ধূপগুড়িতে বানানো হচ্ছে । সাধারণ মানুষ তো আর রেলস্টেশন খাবে না। তা করে আমাদের লাভ কী। ঘর চাই, একশো দিনের টাকা তো দিচ্ছেন না। ভোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী কাজ করেন না, তিনি সারা বছর কাজ করেন। উত্তর-পূর্ব ভারতে যদি ট্যাক্স কমানো যায় তাহলে শিল্প আসতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্রক্ষ্মপুত্র বোর্ড থাকলেও তার কাজ নিয়েই কটাক্ষ করেন জলপাইগুড়ি লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী । আমরা বারবার দাবি করছি সাধারণ মানুষের চাহিদা দাবি করছি । আমি জ্যোতিষী নই, তবে আমরা জিতব ।"
আরও পড়ুন: