ETV Bharat / state

আরজি কর-কাণ্ডে মুখ্যসচিব ও ডিজিকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের - RG Kar Doctor Rape and Murder

RG Kar Doctor Rape and Murder: আরজি কর-কাণ্ডে এবার রাজ্য সরকার ও রাজ্য পুলিশকে নোটিশ দিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ দু’সপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে ৷

RG Kar Doctor Rape and Murder
আরজি কর-কাণ্ডে রাজ্যকে নোটিশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Aug 13, 2024, 3:57 PM IST

নয়াদিল্লি, 13 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে এবার পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ তাদের তরফে মঙ্গলবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে ৷ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্য়ে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে ৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷

এই নিয়ে কমিশনের এক প্যানেল জানিয়েছে, শোনা যাচ্ছে যে নিহতের শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে ৷ যা থেকে মনে হচ্ছে যে ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছিল ৷ পরিবার অভিযোগ করেছে যে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে । সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক তথ্যও নজরে এসেছে কমিশনের ৷ তাই কমিশন মনে করছে যে অভিযোগগুলি যদি সত্যি হয়, তাহলে এই ঘটনা খুবই গুরুতর ৷

সেই কারণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ৷ দু’সপ্তাহের মধ্য়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ এই নিয়ে কমিশনের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে প্রতিবেদনে পুলিশি তদন্তের বর্তমান অবস্থা ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

পাশাপাশি কমিশন আশা করছে যে মৃতার পরিবারকে কোনও সাহায্য করা হয়েছে কি না, সেই বিষয়টি রিপোর্টে উল্লেখ করা হবে ৷ কমিশন জানিয়েছে যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে বা প্রস্তাব করেছে, সেই সম্পর্কেও তারা জানতে চায় ।

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে শুক্রবার সকালে ডাক্তারির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রথমে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজু হয় ৷ শনিবার কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে ৷

শুক্রবার থেকে আরজি করে আন্দোলন ও কর্মবিরতি শুরু হয় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা রাজ্যে ৷ এখন রাজ্যের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলছে ৷ কলকাতা পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দলও গড়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও তদন্ত শেষ নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ৷ তার পরও এই নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে ৷ একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে ৷ প্রশ্নের মুখে আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও ৷

এই নিয়ে সোমবারই কলকাতায় আসে জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ মঙ্গলবার তারা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যায় ৷ সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলে ৷

নয়াদিল্লি, 13 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ডে এবার পদক্ষেপ করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷ তাদের তরফে মঙ্গলবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিকে ৷ আগামী দু’সপ্তাহের মধ্য়ে এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ওই নোটিশে ৷ স্বতঃপ্রণোদিত হয়েই এই পদক্ষেপ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ৷

এই নিয়ে কমিশনের এক প্যানেল জানিয়েছে, শোনা যাচ্ছে যে নিহতের শরীরে আঁচড়ের চিহ্ন রয়েছে ৷ যা থেকে মনে হচ্ছে যে ঘটনার সময় ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছিল ৷ পরিবার অভিযোগ করেছে যে নির্যাতিতাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে । সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একাধিক তথ্যও নজরে এসেছে কমিশনের ৷ তাই কমিশন মনে করছে যে অভিযোগগুলি যদি সত্যি হয়, তাহলে এই ঘটনা খুবই গুরুতর ৷

সেই কারণে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নোটিশ দিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব বিপি গোপালিকা ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারকে ৷ দু’সপ্তাহের মধ্য়ে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে ৷ এই নিয়ে কমিশনের তরফে দেওয়া একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে প্রতিবেদনে পুলিশি তদন্তের বর্তমান অবস্থা ও দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে ৷

পাশাপাশি কমিশন আশা করছে যে মৃতার পরিবারকে কোনও সাহায্য করা হয়েছে কি না, সেই বিষয়টি রিপোর্টে উল্লেখ করা হবে ৷ কমিশন জানিয়েছে যে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ করেছে বা প্রস্তাব করেছে, সেই সম্পর্কেও তারা জানতে চায় ।

উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চারতলার সেমিনার হল থেকে শুক্রবার সকালে ডাক্তারির পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয় ৷ প্রথমে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও পরে ধর্ষণ করে খুনের মামলা রুজু হয় ৷ শনিবার কলকাতা পুলিশ এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করে ৷

শুক্রবার থেকে আরজি করে আন্দোলন ও কর্মবিরতি শুরু হয় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে ৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারা রাজ্যে ৷ এখন রাজ্যের প্রায় প্রতিটি হাসপাতালেই কর্মবিরতি চলছে ৷ কলকাতা পুলিশ বিশেষ তদন্তকারী দলও গড়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও তদন্ত শেষ নিয়ে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন ৷ তার পরও এই নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে ৷ একাধিক জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে ৷ প্রশ্নের মুখে আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে সদ্য ইস্তফা দেওয়া সন্দীপ ঘোষের ভূমিকাও ৷

এই নিয়ে সোমবারই কলকাতায় আসে জাতীয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের প্রতিনিধি দল ৷ মঙ্গলবার তারা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যায় ৷ সেখানে গিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথাও বলে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.