কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বদল হয়েছে। অধীর চৌধুরীর জায়গায় দায়িত্বে এসেছেন শুভঙ্কর সরকার। এরপর বঙ্গের ইন্ডিয়া জোটের শরিক ও প্রদেশ কংগ্রেসের অবস্থান নিয়ে তাঁর গলায় শোনা গেল কৌশলের সুর। রবিবার নয়া প্রদেশ সভাপতি বলেন, "আমরা মানুষের কথা বলব। মানুষ যেটা চাইবে সেটাতেই আমরা যুক্ত হব। তবে একজন কংগ্রেস কর্মীর গায়েও হাত পড়লে সেটা মেনে নেওয়া হবে না। কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে যেতেই তখন আমরা পিছপা হব না।"
একই সঙ্গে শুভঙ্কর আরও বলেন, "অধীররঞ্জন চৌধুরীও সেই কথাই বলতেন। এর আগে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা অধীর চৌধুরীর একার ছিল না। আমি বা আমার মতো অনেকেই তাঁর সিদ্ধান্তের শরিক ছিলাম।" আসন সমঝোতা প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিলেও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য। 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সংগঠন মজবুত করারই আমাদের টার্গেট।"
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে এদিনই দলের রাজ্য দফতরে সাংবাদিক বৈঠক করেন শুভঙ্কর। সেখানে আরজি করের নির্যাতিতা এবং বন্যা কবলিত মানুষদের কথা ভেবে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন শুভঙ্কর সরকার। তিনি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসকে আরও শক্তিশালী করা আমার প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য।"
আরজি কর ইস্যুতে শুভঙ্কর সরকার বলেন, "কলকাতাকে ধন্যবাদ অপরাধের বিরুদ্ধে এভাবে প্রতিবাদ করার জন্য। শিক্ষা, স্বাস্থ্যে দুর্নীতি থেকে শুরু করে মহিলাদের উপরে ক্রমাগত অত্যাচার হচ্ছে। রাহুল গান্ধির সঙ্গে দেখা করে এই বিষয়গুলিও বলব। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে একটাই আবেদন, বাংলার মহিলাদের বিষয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখুন।"
তিনি সিনিয়র ডাক্তারদের বিষয়টিও তাঁর বক্তব্যে উত্থাপন করেন। শুভঙ্কর বলেন, "এই যে স্বাস্থ্য নিয়ে দুর্নীতি চলল এতদিন ধরে, সিনিয়র ডাক্তাররা যদি একটু আগে থেকেই আন্দোলন করতেন তাহলে আর জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন করতে হত না।" তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে স্যালুটও জানিয়েছেন ৷