কলকাতা, 21 জানুয়ারি: আদালতের নির্দেশ মেনে মাত্র 20 জনকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সভা করল আইএসএফ। নির্ধারিত সময়েও শেষও হল সভা। আর সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন দলের সভাপতি নওশাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, "আমি তো ডায়মন্ড হারবার আসনের জন্য মনো সংযোগ করে রেখেছি। ভাইপোকে হারিয়ে কালীঘাটে পাঠাব। কাশফুলের বালিশ তৈরি করবেন। আর 2026 সালে পিসি'কে নবান্ন থেকে নামিয়ে ঢপের দোকানের মালিক বানিয়ে ছাড়ব। চপ নয়, ঢপের দোকান। কারণ, উনি ঢপ দেন।"
রবিবার নওশাদ বলেন, "আমরা বিকল্প রাজনীতির সন্ধানে আছি। শুধুমাত্র নীল-সাদা রং করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি হয় না। আমাদের অনুষ্ঠান আটকানোর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে আদালতে চলে যাচ্ছে। চাকরি চোরগুলোকে রক্ষা রাখার জন্য জনগণের কোটি কোটি টাকা নষ্ট করে আদালতে যাওয়া হচ্ছে ।
তাঁর দাবি, নিয়োগের পরীক্ষার সময় মৌখিক পরীক্ষার ভিডিওগ্রাফি করা হোক। সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তনের জন্য রাজনীতিতে এসেছি, ক্ষমতার দখল আমাদের লক্ষ্য নয়। এই ক্ষোভ এবং রাগ ব্যালেট বক্সে রূপান্তরিত করতে হবে। ভিক্টোরিয়া হাউজের সামনে অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু আদালত অনুমোদন দেয়নি। আদালত যা যা বলছে তা আমরা অক্ষয় অক্ষরে পালন করে যাচ্ছি। কিন্তু আগামিদিনে এই ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করব।"
রাজ্যের আর্থিক সমস্যার প্রসঙ্গ তুলে এদিন নওশাদ বলেন, "আমাকে অর্থ দফতরের দায়িত্ব দিন। ছ'মাসের মধ্যে রাজ্যে আর্থিক হাল বদলে দেব। পরের দিন কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। না হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব।" দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নওশাদ বলেন, "আমাদের রাগ হচ্ছে। আপনাদেরও রাগ হচ্ছে। সেই রাগকে ব্যলট বাক্সে নিয়ে যান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে দশটা করে ভোট নিয়ে আসুন।"
তাঁর কথায়, "রাজনীতি একদিনের ম্যাচ নয়। লড়াইটা দীর্ঘ। এখানে হতাশা রাখলে হবে না। ভেঙে পড়ার জায়গা নেই। আদালতের নির্দেশ আমরা মানবই। আইনের প্রতি আমাদের ভরসা আছে। আমাদের খারাপ লাগছে। কারণ, গত দু'মাস ধরে কলকাতায় দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের জন্য আপনরা লড়াই করেছিলেন। কিন্তু সেটা করা যায়নি। তলে আগামিদিনে আমরা ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনেই সভা করব।"
আরও পড়ুন
বাবার বদলে মৃত্যুর শংসাপত্র এল ছেলের নামে ! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় চাঞ্চল্য
ম্যারাথনে বিপত্তি, বাঁশের তোরণ ভেঙে গুরুতর জখম কলকাতার অতিরিক্ত নগরপাল
রামভক্তদের সম্মান করি, রাজনীতি করা ব্যক্তিদের নই; শুভেন্দুকে নিশানা ফিরহাদের