বর্ধমান, 17 অগস্ট: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসক খুন ও বর্ধমানের নান্দুরে তরুণীকে খুনের ঘটনায় সরব হলেন ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী । শনিবার বর্ধমানে মৃত তরুণীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ নান্দুরের ঘটনা প্রসঙ্গেই বলেন, "তরুণীর গলা কাটা দেহ উদ্ধারের 72 ঘণ্টা কেটে গেলও কেউ গ্রেফতার হয়নি ৷" পাশাপাশি আরজি করের ঘটনায় তিনি জানান, সিবিআই যদি সঠিকভাবে তদন্ত শুরু করে তবে হয়তো স্বাস্থ্যমন্ত্রীও গ্রেফতার হবেন ৷
এদিন ওই তরুণীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ভাঙরের বিধায়ক ৷ তিনি বলেন, "72 ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ বর্ধমানের নান্দুরে তরুণী খুনের ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতার করতে পারল না। আমি আর একদিন দেখব, না-হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে অভিযোগ করব। ওই তরণীর পরিবার কথা বলার অবস্থায় নেই। তবুও মন শক্ত করে লড়াই করতে বলেছি। আরজি কর কাণ্ডে কাকে আড়াল করা হচ্ছে, সেটা তো বলতে পারব না। তবে অনেক মাথা আছে। আগামিদিনে যদি সিবিআই সঠিক ভাবে তদন্ত শুরু করে হয়তো স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করতে পারে। কারণ ওটা শুধুমাত্র একটা খুন বা ধর্ষণের ঘটনা নয়, এর পিছনে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। "
তিনি উল্লেখ করেন, শুধু আরজি কর নয়, রাজ্যের বিভিন্ন রিমোট এলাকায় একাধিক ঘটনা ঘটছে। সেগুলোকে ধামা চাপা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ সেই কারণে পথে নেমেছে সাধারণ মানুষ ৷ বর্তমানে যে সরকার চলছে, সেই সরকারের সমালোচনা করা যাবে না ৷ তাদের গুণগান গাইতে হবে ৷ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "তাঁর দল ক্ষমতায় আছে। সিবিআই তদন্তভার নিলেও রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করলে কিছুই হবে না। তারা বলুক যে সিবিআই-কে সহযোগিতা করবে ৷ কয়েকদিন আগে নান্দুরে যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়ে কেউ মুখ খোলেনি। আসলে গ্রামের মানুষদের শুধু নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয় । কলকাতায় কোনও সমাবেশে হলে ভিড় বাড়ানোর জন্য এদের গাড়িতে চাপিয়ে দেওয়া হয়। আমরা অন্যায়কে অন্যায় বলে থাকি। আমাদের কাছে শহর বা গ্রামের মেয়ে সমান।"