কলকাতা, 15 এপ্রিল: গঠিত হল 'জাতীয় নাগরিক কমিশন'। সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল রাজ্যের প্রাক্তন উপাচর্যরদের সংগঠন 'এডুকেশনিস্ট ফোরাম'। সেখানেই তারা নতুন এই কমিশনের বিষয়ে আলোকপাত করে । চার সদস্যের এই কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক সুখদেব থোরাট । এছাড়াও রয়েছেন অধ্যাপক ড. জোসে পি ভারগিস, অধ্যাপক ড. সুধাংশু ভূষণ, অধ্যাপক ড. শিবাজী প্রতিম বসু ।
শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, প্রাক্তন উপাচার্যদের কথায় জাতীয় স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য এবং আচার্য নিয়ে সমস্যা হচ্ছে । এমনকি রাজ্যপাল এবং আচার্যের মধ্যে কী তফাত ? কার কী ক্ষমতা ? বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কী বলা হয়েছে ? তা অনেকের কাছেই স্পষ্ট নয় বলে মনে করেন তাঁরা ৷ এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই নাগরিক কমিশন ।
এই কমিশন পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যে যাবে । সেখানে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে কী বলা হয়েছে, কার কতটা ক্ষমতা, আচার্য এবং রাজ্যপালের মধ্যে পার্থক্য কোথায়, সেই সবকিছু নিয়েই কথা বলবেন এই কমিশনের সদস্যরা । 26 এপ্রিল থেকে শুরু হবে তাঁদের এই কর্মসূচি । কর্মসূচির শেষে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে কমিশনের তরফে । সেখানে এই সম্পূর্ণ বিষয়টি তুলে ধরা হবে। প্রাক্তন উপাচার্য তথা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র বলেন, "কমিশনের তরফে আমাদের একটি অফিসিয়াল ইমেল আইডি তৈরি করতে বলা হয়েছে । একাধিক মিটিংও করতে হবে । তবে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, যাতে এই কর্মসূচি শেষ করতে 2 মাস সময় পাওয়া যায় ।"
এর পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান অবস্থা এবং সম্প্রতি রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ড নিয়েও সরব হন প্রাক্তন উপাচার্য তথা অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র । তিনি জানান, "গত বছর থেকে শুরু হয়েছে । আমাদের রাজ্যপাল হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য । সম্প্রতি তিনি একটি রিপোর্ট কার্ড বানিয়েছেন, যে রিপোর্ট কার্ডে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বেশ কিছু কথা রয়েছে । রাজ্যপালের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই । 'রাজ্যপাল' একটি সাংগঠনিক পদ । তবে আচার্য তা নয় । এর ফলে অনেক অসুবিধা হচ্ছে । বিরোধিতা থাকতে পারে । কিন্তু আইন মানতে হবে ।"
আরও পড়ুন: