কলকাতা, 6 জুন: ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল' গত মাসের শেষে বৃষ্টিস্নাত মনোরম গ্রীষ্ম উপহার দিয়েছিল। গত মাসের শেষদিনে কেরলে বর্ষা প্রবেশের পর মনে হয়েছিল বিদায় গ্রীষ্ম, স্বাগত বৃষ্টি। উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করলেও সে দক্ষিণবঙ্গমুখী হয়নি এখনও। সাধারণত 10 জুন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে তার প্রবেশের কথা। কিন্তু হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণবঙ্গের জেলায় 13 তারিখের আগে ঢুকছে না বর্ষা। অর্থাৎ, পরের সপ্তাহে বর্ষার প্রবেশ।
- আজ, বৃহস্পতিবার দক্ষিণের কিছু জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে ঠিকই, তবে এই দুর্বিসহ ঘর্মাক্ত পরিস্থিতি মোকাবিলায় তা পর্যাপ্ত নাও হতে পারে। দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া এবং মুর্শিদাবাদ-সহ কিছু জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি।
- আগামিকাল কিছু জেলাতে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বর্ধমান, হুগলি, দুই 24 পরগনা ও দুই মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টি প্রায় নেই।
- 8 তারিখে দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে। বাকি জেলাগুলিতে তেমন সম্ভাবনা নেই।
- 9 তারিখে পূর্ব বর্তমান ছাড়া আর কোথাও সেভাবে বৃষ্টি নেই। তবে এই বৃষ্টি বর্ষার আবাহনী নয় বলে জানিয়েছেন, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত।
- হাওয়া ঘুরতে পারে 10 তারিখে। অর্থাৎ, নতুন সপ্তাহের প্রথম দিন থেকে। সেদিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে ৷ সেই সঙ্গে থাকবে ঝোড়ো হাওয়া।
বজ্রবিদ্যুৎ সম্পর্কে জনসাধারণকে সতর্ক করেছে আলিপুর। পাশাপাশি ফের উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় সতর্কতা ও সচেতনার কথা বলেছে। দক্ষিণবঙ্গে উষ্ণ এবং আর্দ্র আবহাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে । সতর্কবার্তা দেওয়া আছে অকারণে বাইরে না-যাওয়া এবং পর্যাপ্ত জলপানের।
13 জুনের আগে মৌসুমী বায়ু দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশের কোনও আশা নেই। উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি চলছে কারণ সেখানে বর্ষা প্রবেশ করেছে। আজ উত্তরবঙ্গের ওপরের পাঁচটি জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই বৃষ্টি মৌসুমী বায়ু অর্থাৎ বর্ষার বৃষ্টি। আগামিকাল এই পাঁচ জেলায় বৃষ্টি আরও বাড়বে ৷ 9, 10 এবং 11 তারিখ কিছুটা বেশি বৃষ্টি পাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি।
বুধবার কলকাতা এবং তৎপার্শ্ববর্তী অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল 36 ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় 1 ডিগ্রি বেশি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 27.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ 88 শতাংশ, সর্বনিম্ন 56 শতাংশ। বৃহস্পতিবার দিনের আকাশ আংশিক মেঘলা। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 35 ডিগ্রি এবং 28 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।