তারাপীঠ, 17 ডিসেম্বর: তারাপীঠ মা তারার মন্দিরের গর্ভগৃহে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছিল আগেই। আর এখন থেকে মন্দিরেও মোবাইল নিয়ে ঢুকতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা। তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মন্দিরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ সম্পূর্ণভাবে নিষেধ। এবার মন্দিরের প্রবেশদ্বারে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে মোবাইল জমা রেখে তারপর ভিতরে ঢুকতে হবে। মঙ্গলবার পৌষ মাসের প্রথম দিন থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
প্রায় সারা বছরই ভক্তদের ঢল দেখা যায় তারাপীঠের মা তারার মন্দিরে। প্রতি অমাবস্যা, বিশেষ করে কৌশিকী অমাবস্যায় ও বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে গুলিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হয়। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সেই কারণেই কয়েক দিন আগেই বীরভূমের জেলা শাসক বিধান রায়, তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি, সহসভাপতি ও সেবায়েতদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। সেখানেই নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পৌষমাসের 1 তারিখ থেকে মা তারার মন্দিরে মোবাইল নিয়ে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেটে ফোন জমা রেখে তবেই ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন ভক্তরা।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, "আগেই থেকে কিছু নিয়ম ছিল। আমার সেগুলি কার্যকরী করার জন্য বিশেষ জোর দিয়েছি। এছাড়া নতুন কিছু নিয়ম চালু হয়েছে। যেমন, মন্দিরের গর্ভগৃহে গোলাপজল, আলতা দেওয়া যাবে না। সেবায়েতরাই মা-কে ওগুলি অর্পণ করে দেবেন। ভক্তরা লাইন দিয়ে গিয়ে গর্ভগৃহে মায়ের চরণ স্পর্শ করে বেরিয়ে আসবেন। তাতে ভক্তদের বেশি সময় ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।"
মন্দিরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে,
- পুজোর জন্য দু'টো লাইন করতে হবে। অতিরিক্ত কোনও লাইন রাখা যাবে না ৷
- মূল একটি লাইন প্রথমে শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে ভিড় বাড়লে আরও একটি বিশেষ লাইন করতে হবে ৷
- গর্ভগৃহে আর দেওয়া যাবে না গোলাপজল-আলতা।
- মন্দিরের গায়ে নারকেল ফাটানো যাবে না।
- এখন থেকে শুধুই প্রতিমার চরণ স্পর্শ করা যাবে।
|