কলকাতা, 29 জানুয়ারি: শহরে একটি প্রযোজনা সংস্থার অফিসে ঢুকে সাত লক্ষ টাকা লুট ! টাকা নিয়ে দুই দুষ্কৃতী দু'দিকে দৌড় দেয় বলে অভিযোগ । ঘটনাটি ঘটেছে পার্ক স্ট্রিট থানার অন্তর্গত রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে । ইতিমধ্যেই স্থানীয় পার্ক স্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে । পার্ক স্ট্রিট থানার পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "ঘটনার তদন্ত চলছে । সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি ৷" পুলিশ জানতে পেরেছে, গতকাল রাতে ওই প্রযোজনা সংস্থার অফিসে আচমকাই বলপূর্বক ঢুকে পড়ে দুই দুষ্কৃতী । এরপর সেখান থেকে টাকার ব্যাগ নিয়ে অফিস থেকে বেরিয়ে দুই অভিযুক্ত দু'দিকে দৌড় দেয় । একজন নিউ মার্কেটের দিকে ও অপরজন ছুটে পালিয়ে যায় পার্কস্ট্রিটের দিকে । তবে এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা । ইতিমধ্যেই ওই প্রযোজনা সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলছেন তদন্তকারীরা ।
আজ সকালে ওই অফিসে যান স্থানীয় পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ । যান কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারাও । তবে তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দারা ওই সংস্থার একাধিক লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন । তদন্তকারীদের দাবি, অনেকেরই কথাবার্তার মধ্যে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে । কারণ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের কথা বলছেন সেখানকার লোকজন ।
লালবাজার সূত্রের খবর, ওই সংস্থার তরফে একবার বলা হচ্ছে যে, তাঁদের মোট সাত লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছে । আবার ওই একই সংস্থার অন্য লোকজন তদন্তকারীদের সামনে বলছেন যে, তিন লক্ষ টাকা লুট হয়েছে ৷ ফলে তাঁদের নিজেদের কথাবার্তার মধ্যেই রয়েছে বিস্তর ফারাক ।
ফলে এটি ডাকাতির ঘটনা, নাকি লুট, নাকি তোলাবাজির ঘটনা, সেটাই এখন যাচাই করতে চাইছেন তদন্তকারীরা ।
এই ঘটনার তদন্তে নেমে পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ ঘেঁটে তদন্তকারীরা অনুমান করছেন যে, ইদানিং পার্ক সার্কাসে একটি নতুন লুটেরা গ্যাং ঘুরছে । তারা এই ভাবেই কোনও অফিসে ঢুকে টাকার ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিচ্ছে । সেই গ্যাংয়ের সঙ্গে পার্ক স্ট্রিটের ঘটনার কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে ।
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ গিয়ে এলাকার আশপাশের একাধিক অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ ও সংশ্লিষ্ট অফিসের ভিতরের ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন । ওই সংস্থার কোথায় টাকা থাকে, তা লুটেরারা জানত বলে মনে করছে পুলিশ এবং সেখান থেকেই টাকার ব্যাগ নিয়ে তারা চম্পট দেয় ৷ এর থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সংস্থার পূর্ব পরিচিত কোনও ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারেন ।
